নেছারাবাদে মাদ্রাসা ছাত্রীর হাত পা বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ

প্রথম পাতা » পিরোজপুর » নেছারাবাদে মাদ্রাসা ছাত্রীর হাত পা বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ
শুক্রবার ● ৩ জুলাই ২০২০


এটি একটি প্রতীকী ছবি।

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
নেছারাবাদে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। ২ জুলাই (বৃহস্পতিবার) রাতে নেছারাবাদ থানায় ধর্ষিতার পিতা দ্বীন ইসলাম শেখ বাদী হয়ে ধর্ষক খায়রুল ও তার দুই সহযোগীকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ওই মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ধর্ষিতার মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পিরোজপুর সিভিল সার্জন অফিসে পাঠিয়েছে।
মামলার বিবরনে জানা গেছে, উপজেলার উত্তর করফা গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের নবম শ্রেণির ওই মাদ্রাসা ছাত্রী লেখা-পড়ার পাশাপাশি প্রতিবেশি সাইদুলের বাসায় কাজ করত। সাইদুলের ব্যবসায়ীক পার্টনার খায়রুল প্রায়ই তাকে কু প্রস্তাব দিত। বিষয়টি সাইদুলের স্ত্রী নাসরিনকে জানালে তিনিও খাইরুলের পক্ষ নিয়ে বিভিন্ন প্রকারে প্রলোভন দেখাত। ঘটনার দিন নাসরিন তার স্বামী বাড়ী নেই বলে তার কাছে রাত্রে থাকার জন্য বলেন। ছাত্রীটি রাজি হয়ে রাত্রে থাকার জন্য ওই বাড়ী গেলে সেখানে লম্পট খাইরুলকে দেখেতে পায়। খাইরুল একপর্যায়ে ছাত্রীটিকে বাগানে নিয়ে হাতপা বেধে জোর পুর্বক ধর্ষণ করে। পরে সাইদুল এসে হাতপা খুলে দেয়। এসময় নাসরিনকে উদ্দেশ্য করে এমন ক্ষতি কেন করলেন- জিজ্ঞাসা করলে নাসরিনের জবাব ছিল, ‘খাইরুল তোকে বিয়ে করবে, কোন সমস্যা হবে না। কাজেই একথা কাউকে বলিস না।’ পরে নাসরিন ও তার স্বামী সাইফুলই সব কথা ফাঁস করে দেওয়ার কথা বলে খায়রুলের কাছে টাকাও নেয়। পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে এলাকার জনপ্রতিনিধিরা মিমাংসার নামে দুই মাস সময় অতিবাহিত করেন। বার বার বৈঠক করে গত ২৭ জুন ৫০ হাজার টাকা নিয়ে মিমাংসা হয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। ছাত্রীর পরিবার তাতে রাজি না হওয়ায় পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি নেছারাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামরুজ্জামান তালুকদার নিশ্চিত করে সাগরকন্যাকে বলেন, একটি ধর্ষনের ঘটনা মিমাংসা করা বা কালক্ষেপণ করা বে-আইনী। ভিকটিমকে মেডিকেল পরীক্ষা করানোর জন্য শুক্রবার সকালে জেলা সদরে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত পূর্বক আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

এমআরএ/এনবি

বাংলাদেশ সময়: ১৩:৪৬:৪২ ● ৫৬৫ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ