বেতাগী(বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

বরগুনার বেতাগীতে পল্লী বিদ্যুতের ভুতুরে বিলে নাকাল সাধারণ গ্রাহকরা। অতিরিক্ত  বিল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার প্রায় ২০ হাজারের অধিক গ্রাহক সকলের মধ্যেই বিলের ব্যাপারে রয়েছে উদ্বেগ। কিন্তু পল্লী বিদ্যুত অফিসের দাবী সার্ভিস তারে যে বিদ্যুৎ ব্যাবহার হয় তা মিটার রিডিংএ দেখা যায় না তাই মিটার রিডিং ও বিল কাগজের মধ্যে ব্যবধান থাকে।
করোনা ভাইরাসের কারণে গ্রাহকরা বকেয়া মাশুল ছাড়া তিন মাসের বিদ্যুৎ বিল একসঙ্গে দেয়ার সুবিধা পেলেও অতিরিক্ত বিল কিভাবে সমন্বয় হবে এ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে কোনো সমাধান হয়নি। গ্রাহকরা বিভিন্ন ভাবে পল্লী বিদ্যুতের এই সমস্য সমাধানের ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা বলেন অতিরিক্ত টাকা জুন মাসের বিলে সমন্বয় করা হবে।
এই তিন মাসে বাড়িতে বিদ্যুৎ অফিসের কোন লোক না এসে কিভাবে বিল করলো এই প্রশ্ন সাধারন গ্রাহকদের মাঝে।  মার্চ, এপ্রিল, মে এই তিন মাসের বিল আগের তুলনায় ৫/৬ গুন বেশি। অনেকে জুন মাসের বিলের অপেক্ষায় থেকে এখন পর্যন্ত বিল পরিশোধ করেনি। তবে পল্লী বিদ্যুতের বিলের ব্যাপারে এর আগেও কম-বেশি অভিযোগ ছিল। এমন কি পূর্বের মাসগুলোর বিল পরিশোধ করা হলেও নতুন মাসের বিলে তা বকেয়া বিল হিসেবে লেখা থাকে।
এ ব্যাপারে বেতাগী বিদ্যুৎ উপ-কেন্দ্রের ইনচার্জ প্রকৌশলী মো. আবুল বাসার বলেন, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের কারণে ব্যবহারের পরিমাণ বেশি হওয়ায় গ্রাহকদের কাছে বিল বেশি মনে হচ্ছে এবং করোনার কারণে রিডার কোনো বাড়িতে ঢুকতে পারেনি তাই আমরা পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাথে কথা বলেছি খুব শিগ্রই বিল সমন্বয় করা হবে।
পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বরগুনার ডিজিএম মো. সাইদুর রহমান বলেন,  পল্লী বিদ্যুতে ভুতুরে ও ভুয়া বিলের কোনো সুযোগ নেই। মিটারের রিডিংয়ের বাইরে অতিরিক্ত বিল হয়ে থাকলে তা খতিয়ে দেখা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বেতাগী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব আহসান বলেন,পল্লী বিদ্যুতের বিল নিয়ে অনেকেই অভিযোগ করেছেন। ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রকৌশলীকে বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য বলা হয়েছে।

এমকে/এমআর