টুঙ্গিপাড়ায় ২ হাজার ইবতেদায়ী শিক্ষকের বেতন বন্ধ!

প্রথম পাতা » ঢাকা » টুঙ্গিপাড়ায় ২ হাজার ইবতেদায়ী শিক্ষকের বেতন বন্ধ!
শনিবার ● ২৭ জুন ২০২০


টুঙ্গিপাড়ায় ২ হাজার ইবতেদায়ী শিক্ষকের বেতন বন্ধ!

টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত  দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদ্রাসার ২ হাজার শিক্ষক ৬ মাস ধরে বেতন-ভাতা পাচ্ছেননা। করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন বেতন বন্ধ থাকায় শিক্ষকরা পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন । শনিবার (২৭ জুন) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মাদ্রাসার শিক্ষকরা  এ অভিযোগ করেন।

এ সময় দারুল আরকাম এবতেদায়ী মাদ্রাসার গোপালগঞ্জ শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সভাপতি হাফেজ মাও. আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহ-সভাপতি মো. হুসাইন আহম্মেদ, হাফেজ মোস্তফা কামাল, সাধারন সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, ফরিদপুর জেলার সভাপতি মুফতি বেলায়েত হোসেন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

ওই মাদ্রাসার গোপালগঞ্জ শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন,  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধীনে ২০১৭ সালে টুঙ্গিপাড়া সহ দেশের প্রতিটি উপজেলায় ২টি করে মোট ১ হাজার ১০টি দারুল আরকাম মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম উল্লেখ করা হয়। তখন প্রধানমন্ত্রী কওমি মাদ্রাসার দাওড়া হাদিসের সনদকে মাষ্টার্সের সমমান মর্যাদা দেন। ১ হাজার ১০ টি দারুল আরকাম মাদ্রাসায় ২ হাজার ২০ জন শিক্ষককে সরকারি চাকরি প্রদান করেন। কিন্তু আমরা দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকরা গত ৬ মাস ধরে বেত পাচ্ছিনা। এ অবস্থায়  আমরা কারো কাছে হাত পাততে পারছিনা । করোনা পরিস্থিতিতে  কোন সরকারি সাহায্য সহযোগিতা পাইনি। ঈদের আগে ভাগ্যে জোটেনি বোনাস। তাই আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে আছি।

শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, মাদরাসাগুলো মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের আওতাধীন। এ প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।  প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ছাড়া দ্রুত এ প্রকল্প বাস্তবায়ন অসম্ভব। আমাদের প্রতি মাসে  ১১ হাজার ৩ শ’ টাকা বেতন দেয়া হয়। করোনার মধ্যে ৬ মাস বেতন নেই। পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে আছি। তাই অচিরেই বেতন চালুর দাবি জানাচ্ছি।

গোপালগঞ্জ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিডি মোঃ মাসউদুল হক বলেন, এ মাদ্রাসার শিক্ষকরা  সরকারি প্রকল্পের আওতায় চাকরি করেন। নতুন প্রকল্প পাশ না হওয়ায় তাদের ৬ মাসের বেতন বন্ধ রয়েছে। একনেকে এ সংক্রান্ত নতুন প্রকল্প পাশ হলেই, তারা আবার বেতন পাওয়া শুরু করবেন বলে আমি জানতে পেরেছি।

এসএস/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১২:০৭:১২ ● ৩৪৩ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ