কলাপাড়ায় সন্ত্রাসীদের হামলায় ছাত্রলীগ কর্মী আহত

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » কলাপাড়ায় সন্ত্রাসীদের হামলায় ছাত্রলীগ কর্মী আহত
বুধবার ● ২৪ জুন ২০২০


কলাপাড়ায় সন্ত্রাসীদের হামলায় ছাত্রলীগ কর্মী আহত

কলাপাড়া সাগরকন্যা অফিস॥

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের হাফেজ প্যাদার হাট সংলগ্ন ধলুমৃধা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে মোবাইল করে ডেকে নিয়ে সন্ত্রাসীরা তানিম মোল্লা (২৭) উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করে গুরুত্বর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। ঘটনাটি মঙ্গলবার সকালে ঘটেছে। আহত তানিমকে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এবিষয়ে কলাপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আহতের পরিবার ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কলাপাড়া উপজেলার চম্পাপুর ইউনিয়নের দেবপুর গ্রামের মো. আলমগীর মোল্লার পুত্র তানিম মোল্লাকে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা মোবাইলে ডেকে ঘটনাস্থলে নিয়ে মারধর করে গুরুতর আহত করে। তানিম মোল্লা চম্পাপুর ইউনিয়নের ছাত্রলীগ কর্মী ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী বলেও জানা যায়। ধানখালী ইউনিয়নের পাঁচজুনিয়া গ্রামের বজলু সরদারের পুত্র মো. হিরা ও পিতার নাম অজ্ঞাতধারী মো. কামরুল, মো. বায়জিদ, মো. আকাশদ্বয় সন্ত্রাসী ও মাস্তান প্রকৃতির লোক। এলাকায় সন্ত্রাসী করা বিবাদীদের নেশা ও পেশা বলে জানা যায়। ঘটনারদিন আহত তানিম মোল্লাকে সন্ত্রাসী হীরা ও তার সহযোগীরা মোবাইলে ডেকে নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে মারধর করে তার বিভিন্ন স্থানে ফুলা ও জখম করে। তার বাম হাতের মধ্য আঙ্গুলে প্লাস দিয়ে টান দিয়ে আহত করে। এসময় তার ব্যবহৃত ৭ হাজার ৫’শ টাকা মূল্যের মোবাইল সেট, ৪ হাজার ৬’শ টাকা মূল্যের হাতের রুপার ব্যাচলেট ও নগদ ২ হাজার একশত টাকা ছিনিয়ে নেয়। এছাড়াও এ ঘটনার বিষয় নিয়ে পুলিশকে জানালে আহত তানিমকে খুন জখম করবে বলেও বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকী দেয়। আহত তানিমের ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ঘটনাস্থল হতে গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। কর্তব্যরত ডাক্তার আহতকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত মো. হিরা’র সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তানিম আর আমি একসাথেই কলাপাড়ার উদ্দ্যেশে যাচ্ছিলাম কিন্তু একটা সময় তানিম আমার থেকে কিছুক্ষনের জন্য আলাদা হয়ে যায়। পরে জানতে পাই তাকে কিছু ছেলেরা মারধর করছে। আমি জানতে চাইলে আমাকে ওখান হতে চলে যেতে বলে। তানিমকে মারধরের সাথে তার কোন হাত নেই বললেও মারধরের ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি স্বীকার করেন।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এবিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।

এসকেআর/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৬:৩২:৫১ ● ৪৮৬ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ