কলাপাড়া গ্রাজুয়েট ক্লাবের উদ্যোগে ঘর পেলেন পিয়ারা

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » কলাপাড়া গ্রাজুয়েট ক্লাবের উদ্যোগে ঘর পেলেন পিয়ারা
সোমবার ● ২২ জুন ২০২০


---


সাগরকন্যা ডেস্ক

কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রাম। এখানেই বসবাস অন্ধ পিয়ারার। স্বামী-সন্তান হারা এই পিয়ারা দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছিলেন জরাজীর্ণ এক কুড়ে ঘরে। যে ঘরে সামান্য বৃষ্টিতে থাকার আর কোন উপায় থাকে না। তার স্বপ্ন ছিল ছোট্ট একটি টিনের ঘরের। যে ঘরে নিশ্চিন্তে- নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দিতে পারবেন বাকি জীবন। তার সেই ঘরের ছবি ভাইরাল হয় স্থানীয় কমিউনিটি পত্রিকার সাংবাদিক হাসান পারভেজের ফেসবুক পোস্টে। সেই পোস্ট দেখে এগিয়ে আসে কলাপাড়া গ্রাজুয়েট ক্লাব। উদ্যোগ নেয় দ্রুত ঘর নির্মাণের। দীর্ঘদিন এমন ভাঙ্গাচোরা- জরাজীর্ণ ঘরে পিয়ারা বসবাস করে আসলেও চোখে পড়েনি স্থানীয় কোনো  জনপ্রতিনিধির। এবারের বর্ষায় কীভাবে এই ঘরে দিন কাটবে পিয়ারার, সেই উৎকণ্ঠায় ছিলেন সবাই। একাধিকবার স্থানীয় প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধর্ণা দিয়েও পিয়ারার মেলেনি ঘরের জন্য একটি টিনও। অবশেষে কলাপাড়া গ্রাজুয়েট ক্লাবের উদ্যোগে শুরু হয় ঘরের কাজ। স্বেচ্ছায় শ্রম দিয়ে এই কাজে সহায়তা করেন পাখিমারা খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির প্রতিনিধি অলোক বিশ্বাস, চিন্ময় সরকার এবং আল-মঞ্জির হাওলাদার। এছাড়া কলাপাড়া গ্রাজুয়েট ক্লাবের প্রতিনিধি কামাল হাসান রনি, জহিরুল ইসলাম মিরন, ইউসুফ হাওলাদার, নেছার উদ্দিন টিপু, শাফিন শাহাদাতসহ অন্যান্যরা ব্যাপক ভুমিকা পালন করেন।

জানতে চাইলে কলাপাড়া গ্রাজুয়েট ক্লাবের এডমিন মুহিব্বুল্লাহ মুহিব জানান, সমাজে এখনো অসংখ্য অসহায় এবং অবহেলিত মানুষ রয়েছেন, যাদের কাছে সরকারি সহায়তা পৌঁছায় না। এক্ষেত্রে দলীয় ও আত্মীয়করণকে দায়ী করেন তিনি। মুহিব প্রশ্ন করেন, পিয়ারার মতো বিধবা অসহায় নারীরা সরকারি ঘর না পেলে এই সহায়তা কাদের জন্য? যার ঘরের প্রয়োজন নেই, সরকারি ঘর অনেক ক্ষেত্রেই তারা পাচ্ছেন। এ অবস্থায় বঞ্চিত হচ্ছেন পিয়ারার মতো অসহায় পরিবারগুলো। তিনি আরো বলেন, অতীতের মতো মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপনে যেকোন অবহেলিত, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবে কলাপাড়া গ্রাজুয়েট ক্লাব।


এর আগে মহিপুরের লতিফপুর গ্রামে খাদেম আলীর ঘর তৈরির উদ্যোগ নিয়ে আলোচনায় আসে কলাপাড়া গ্রাজুয়েট ক্লাব।

বাংলাদেশ সময়: ২২:৫৫:০৩ ● ৩৬৯ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ