চরফ্যাশন (ভোলা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
চরফ্যাশন উপজেলার কোথাও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। গ্রাম, হাটবাজার থেকে শুরু করে পৌর সদরে শারীরিক দূরত্ব মানার বালাই নেই। মাস্ক ও গ্লোাভস পরার ক্ষেত্রে বেশির ভাগ মানুষই উদাসীন। অসম্ভব ছোঁয়াচে করোনার মহামারীর মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে চলছে সবকিছুই। ফলে বাড়ছে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা, আক্রান্ত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।
করোনার উপসর্গ জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে চরফ্যাশন উপজেলার পৌর সভার ৪নং ওয়ার্ডে করোনা উপসর্গ নিয়ে ৪জনের মৃত্যুর সংবাদ রয়েছে। তারা হলেন, চরফ্যাশন বাজারের ঔষাধ ব্যবসায়ী জহরলাল(৬২), ১৭জুন পৌর সভা ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা চরফ্যাশন কৃষি অফিসার সহকারী কৃষি কর্মকর্তা চিত্তরঞ্জন দাস মারা যায়, একদিনের ব্যবধানে ১৮ জুন তারই ছোট ভাই চরফ্যাশন বাজার নারিকেল ব্যবসায়ী ননী বাবুসহ মোট ৪জন মারা গেছে বলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শোভন কুমার বসাক নিশ্চিত করেছেন। তবে এদের রিপোর্ট প্রেরন করা হয়েছে তা আসেনি। পরিবারের তথ্য মতে আমি জানতে পেরেছি।
এদিকে নতুন করে উল্লেখযোগ্যের মধ্যে রয়েছে চরফ্যাশন উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন আখন, সাবেক চেয়ারম্যান শাহেদ আলী মিয়া, চরফ্যাশন থানার ২ উপ-পুলিশ পরিদর্শক ও ৪ ডাক্তার আক্রান্ত হওয়ায় চরফ্যাশন উপজেলার পৌর সভাসহ ২২ ইউনিয়নে আরো আতংক দেখা দিয়েছে। পুরো চরফ্যাশন উপজেলা সদরের কয়েকটি ওয়ার্ড কে রেড জোনের আওতায় আনা হয়েছে। আর উপজেলার ইউনিয়নের কিছু ওয়ার্ডে সবুজ জোন হিসাবে সনাক্ত করা হয়েছে। রোগীর সংখ্যা বিবেচনা করে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন সবুজ জোনে ভাগ করা হয়। চরফ্যাশনে এখন সব মিলে কভিড ১৯ এ আক্রান্ত সংখ্যা ২৫ জন। চরফ্যাশন হাসপাতালের পরিসংখ্যান বিদ শাহাবুদ্দিন বলেন, ৭ জুন ১৪, ১৫, ১৭ জুনের রিপোর্ট এখনও আসেনি। ২১ পুনঃরায় ২১জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মোট ৪১৫জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে রিপোটের অপেক্ষায় রয়েছে। বাকী রিপোর্ট চলে আসছে।
উপজেলা প্রশাসন থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ও বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর সদস্যরা কাজ করেও সরানো যাচ্ছে না ঘর থেকে বেরিয়ে আসা নিয়ন্ত্রণহীন মানুষকে। উপজেলা প্রশাসন বলছে, মানুষকে সচেতন করতেই অভিযান চালানো হচ্ছে। অভিযানের মূল টার্গেট হচ্ছে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা এবং ঘরে রাখা। কিন্তু কিছু মানুষ অহেতুক ঘর থেকে বের হচ্ছে। ফলে সকাল থেকে মধ্যরাত ুঅবধি মানুষের ভিড় লেগেই আছে পথেঘাটে। রবি বার দক্ষিন আইচা বাজার, শশীভূষন বাজার, দুলারহাট, মিনাবাজার, আহাম্মদপুর হাজিরহাট, মুন্সিরহাট, বাংলাবাজার, ঘোষেরহাট ও ঘোষেরহাট লঞ্চঘাট এবং চরফ্যাশনের পূর্বে চেয়ারম্যান বাজার, কেরামতগন্জ বাজার, আন্জুরহাট ও বাবুরহাট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে মানুষের উপচেপড়া ভীড়। বিভিন্ন স্থানে মানুষের জটলাও দেখা গেছে।
এদিকে উপজেলা প্রসাশন থেকে বিকেল ৪ টার মধ্যে দ্বীপের সব বাজারের দোকান পাট বন্ধ করার কথা বললে ও চরফ্যাশন সদর রোডের দোকান গুলি তা অনেক টা মানলে ও বাকি পুরো চরফ্যাশন উপজেলার কে শুনে কার কথা। উপজেলার অন্যন্যা বাজারে সন্দ্ধ্যার পরে গেলে বুঝা যায়না দেশে কোন ভাইরাস আছে, যে যার যার মতো করে সব দোকান খুলে ব্যাবসা চালিয়া যাচ্ছে। বাজার ছাড়া বিভিন্ন তেমাথা চৌমাথা মানুষের ভীড় আর ভীড়।
এদিকে চরফ্যাশনের বিভিন্ন নৌ -ঘাট গুলির অবস্থা আরো খারাপ সামাজিক দুরত্ব কি সেটা তো মানে না বরং সামাজিক দুরত্বর কথা বললে উল্টা আরো তর্ক করে। এখন ঘাটে প্রসাশনের ও কোন নজরদারি নেই, সব হ জ ব র ল অবস্থা।
মাছ বাজারের তো অবস্থা আরো খারাপ মানুষ দেশে কি অবস্থা চলে তা মনে হয় বুঝেই না। ঘা ঘেষে ঘেষে সব আগের মত অবস্হা।
সুশিল সমাজের দাবী প্রসাশন কে আরো কঠোর থেকে কঠোর হওয়া এবং বিনাপ্রয়োজনে মানুষ যাতে ঘর থেকে বের হতে না পারে সে ব্যবস্থা গ্রহন করা, এবং বের হলে যাতে জরিমানা করে শান্তি দেওয়া হয়।
এএইচ/এমআর