বাউফল(পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বাউফলে করোনা সংক্রমনে প্রতিদিনই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এমন অবস্থা চলমান থাকলে আগামী ১৫দিনে বাউফলে করোনা পরিস্থিতি চরম অবনতি ঘটতে পারে। এমনই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. আখতারুজ্জামান।
বিগত ১৪দিনে বাউফল পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে করোনা উপসর্গে ১৫ব্যাক্তির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। অবশ্য এই সংখ্যাটা ১০বলে জানিয়েছেন ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। এর বাইরে নিশ্চিত করোনা সংক্রমনে মৃত্যু ঘটেছে আরো ৫ব্যক্তির। বিগত ১দিনে ১৩ব্যাক্তির নমুনার মধ্যে ৭জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে।
সংক্রমনের হার এই গতিতে বৃদ্ধি পেলে বাউফলে স্বাস্থ্যসেবা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজ।
বাউফল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক ফিরোজ খান বলেন, পরিস্থিতি এখনই নিয়ন্ত্রণে না নেয়া হলে বিপর্যয় ঘটতে পারে। এখনই রেড জোন অথবা লকডাউন যে কোনো পদ্ধতি অনুসরন করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
এরই মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩জন চিকিৎসক দুই জন নার্সসহ বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মোট ১১জন কর্মকর্তা কর্মচারী। সব মিলিয়ে বলতে গেলে বাউফলে করোনার হটস্পটে পরিনত হয়েছে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এদিকে করোনা সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ায় সীমিত হয়ে পড়েছে চিকিৎসা সেবা। এ কারনে চরম বিপাকে পড়েছেন রোগী ও রোগীর স্বজনরা।
এ বিষয়ে ডা. আখতারুজ্জামান বলেন, আমরা হাসপাতালের আউটডোরে এবং ইমারজেন্সিতে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি। হাসপাতালের অনেক কর্মকর্তা কর্মচারী করোনা আক্রান্ত। এখন আরো চারজন নার্সের মধ্যে করোনার উপসর্গ দেখা দিয়েছে। তবে আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। ইনশাল্লাহ চিকিৎসা সেবা অব্যাহত থাকবে। করোনা আক্রান্তদের আবাসিক বাসস্থান
হিসেবে বাউফল পৌরসভা, বাউফল সদর ইউনিয়ন, দাশপাড়া, বগা এবং কালিশুরিতে বেশি সংক্রমন ঘটছে।
বাউফলে বর্তমান করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩৮জন। এরই মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১শ ১৬জন।
বাউফলের সার্বিক করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বাউফল উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা জাকির হোসেন সাগরকন্যাকে বলেন, আমরা করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করছি। বাউফলে সাধারন মানুষদের মধ্যে স্বাস্থ্য বিধি না মানার অনীহার কারনে সংক্রমন বাড়ছে। মৃত্যু হার নিয়ে জানতে চাইলে বিষয়টি উপজেলার অনুপাতে কিছুটা উদ্বেগের। তবে আমরা সরকারের উচ্চ পর্যায়ে নিয়মিত কথা বলছি। অবস্থার নিরিখে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এসএস/এমআর