কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥
বরিশালের স্বনামধন্য শল্যচিকিৎসক হিসেবে খ্যাতি অর্জনকারী ডাঃ আনোয়ারের মৃত্যুতে কুয়াকাটায় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবার মধ্যরাত তিনটায় ঢাকার একটি হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে তিনি মৃত্যু বরণ করনে। এমন সংবাদ কুয়াকাটায় পৌছালে তার শুভাঙ্খীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। এ মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন কুয়াকাটা প্রেসক্লাব, কুয়াকাটা শিল্পীগোষ্ঠী,কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট এ্যাসোসিয়েশন কুটুম, কুয়াকাটা বিজনেস ক্লাব, কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতি, কুয়াকাটা শুভসংঘ ক্লাবসহ বিভিন্ন সংঘঠনের নেতৃবৃন্দ ।
জানা যায়, দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ এবং সর্বাধুনিক হাসপাতালের মালিক, গরিবের ডাক্তার হিসেবে পরিচিত ডা. আনোয়ার ঢাকায় তিন-তিনটি হাসপাতালে ভর্তি হতে না পেরে মারা গেছেন। সোমবার তাকে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় প্রথমে স্কয়ার, তারপর এ্যাপোলো এবং আরো একটি হাসপাতালে ভর্তির চেষ্টা করেও বিফল হন তার নিকটাত্মীয়রা। শেষ পর্যন্ত বাড্ডার একটি হাসপাতালে রাতে ভর্তি করা হলেও মধ্যরাতে মারা যান বরিশালের প্রিয় এই মানুষটি।
মাটির মানুষ হিসেবে পরিচিত ডা: আনোয়ার শল্যচিকিৎসক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। তার বাড়ি ঝালকাঠির মানপাশায়। এক ছেলে এক মেয়ে, স্ত্রী ও এক ভাই নিয়ে যৌথ পরিবার। শিক্ষানুরাগী হিসেবে তার সুনাম চারদিকে। নিজ বাড়ির সামনের স্কুলে ৫০ লাখ টাকা খরচ করে ভবন করেছেন, বরিশালেও একটি স্কুলের সভাপতি। দৈনিক আজকাল ও দৈনিক দক্ষিণাঞ্চলের এই দুইটি স্থানীয় পত্রিকার প্রকাশক। নিজের জমানো সব অর্থ আর ব্যাংক ঋণ দিয়ে বরিশালে নির্মাণ করেন ১১ তলাবিশিষ্ট রাহাত আনোয়ার হাসপাতাল।
কুয়াকাটার তার শুভাকাঙ্খী ও আজকাল পত্রিকার কুয়াকাটা প্রতিনিধি ও কুয়াকাটা শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি হোসাইন আমির বলেন, এমন এক ব্যক্তি আমাদের কাছ থেকে চলে গেলো যা ভাষায় প্রকাশ করারমত না যিনি ছিলেন বরিশালবাসীর গর্ব নিজের জীবন বাজি রেখে আতœত্যাগ করা ডাক্তার খুবই কম মিলে। করোনাকালিন সময় এই অঞ্চলের অনেক বোদ্ধা ডা: চেম্বার বন্ধ করে নিজে বাসায় রয়েছে আর সেই মুর্হুতে আনোয়ার স্যারে তার প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে নিজেই স্বাভাবিক ভাবেই রোগীর সেবা দিচ্ছেন মাসের পর মাস। আর সেই গরীবের বন্ধু সবাইকে কাদিয়ে চলে গেছেন না ফেরার পথে। তার শুন্যতা পুরোন হওয়ার নয় আল্লাহ তাকে জান্নাতবাসী করুন।
এমবি/এমআর