আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
শালিসী বৈঠকে হেরে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসী জাকির প্যাদা ও তার সহযোগীরা আলী হোসেন হাওলাদার বাড়ীতে হামলা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সন্ত্রাসীদের হামলার চারজন আহত হয়েছে। আহতদের পুলিশ উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার পুর্বচিলা গ্রামে।
জানাগেছে, ২৮ এপ্রিল উপজেলার পুর্বচিলা গ্রামের আলী হোসেন হাওলাদার বাড়ীতে ফোরকান গাজীর নেতৃত্বে ৮-১০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা চালায়। এ ঘটনায় আলী হোসেন হাওলাদার আমতলী থানায় ফোরকান গাজীসহ ৮ জনের নামে অভিযোগ দাখিল করেন। ওই ঘটনায় বুধবার শালিস বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে ফোরকান গাজী ও তার সহযোগীদের ১০ হাজার জরিমানা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয় ফোরকান গাজী ও তার সহযোগীরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফোরকান গাজীর সহযোগী জাকির প্যাদার নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী পুনরায় ওই বাড়ীতে হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে আলী হোসেন হাওলাদারের ঘর ভাংচুর করে ঘরে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায় এবং আলী হোসেন হাওলাদার, তার স্ত্রী মাহিনুর বেগম, তার দুই ছেলে আল-আমিন হাওলাদার ও মারুফ হাওলাদারকে বেধরক মারধর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আহত আলী হোসেন হাওলাদারের বড় মেয়ে নাসিমা আক্তার সীমা বলেন, শালিসীতে হেরে ১০ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসী জাকির প্যাদার নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী আমার বাড়ীতে হামলা চালিয়েছে। সন্ত্রাসীরা আমার ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে। সন্ত্রাসীরা আমার মা, বাবা ও দুই ভাইকে বেধরক মারধর করেছে। তিনি আরো বলেন, সন্ত্রাসী জাকির প্যাদা ও তার সহযোগীরা শাসিয়ে গিয়েছে এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি করলে পরিবারসহ সকলকে এসিড় মেরে পুড়িয়ে হত্যা করা হবে। আমরা সন্ত্রাসীদের ভয়ে বাড়ী ছেড়ে চলে এসেছি। এ ঘটনার বিচার চাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জাকির প্যাদা টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটের কথা অস্বীকার করে বলেন, আলী হোসেন হাওলাদারের সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছে কিন্তু মারধরের ঘটনা ঘটেনি।
আমতলী থানার এসআই শুভ বাড়ৈ বলেন, খরব পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। তিনি আরো বলেন, সন্ত্রাসীরা ওই বাড়ী তছনছ করে রেখে গেছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আলহাজ্ব হারুন অর রশিদ বলেন, আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএইচকে/এমআর