মির্জাগঞ্জকে একটি আধুনিক ও উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে গড়ে তোলা হবে

প্রথম পাতা » সর্বশেষ » মির্জাগঞ্জকে একটি আধুনিক ও উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে গড়ে তোলা হবে
বুধবার ● ৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯


খান মোঃ আবু বকর সিদ্দিকী
মির্জাগঞ্জ(পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি ॥
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রত্যাশী সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এবং পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান মোঃ আবু বকর সিদ্দিকী। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে। এরই সাথে সাথে দেশের চলমান উন্নয়নে রুপ পরির্বতন হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জেও ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। পরিবর্তন হয়েছে শিক্ষার মান। নবরুপে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ভবন ও শূণ্য পদগুলোতে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। উপজেলার রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়নের ফলে মির্জাগঞ্জের চিত্র পাল্টে যাচ্ছে। বিশেষ করে মির্জাগঞ্জ উপজেলার মাধ্যে খান দিয়ে বয়ে যাওয়া বরগুনা-চান্দখালী-সুবিদখালী-কাঠালতলী-বাকেরগঞ্জ মহাসড়কের কাজও শেষের পথে। এ মহাসড়ক দিয়ে বরগুনা তথা দক্ষিণাঞ্চালের মানুষ ঢাকা শহর রাজধানীতে কম সময়ে সহজে যাতায়াত করতে পারছে। এসব উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাহক ও নৌকার মাঝি হিসেবে মির্জাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী।

তিনি বলেন, খান মোঃ আবু বকর সিদ্দিকী ২০০১ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত চারদলীয় ঐক্যজোটের সময়ে সুবিদখালী ডিগ্রী কলজে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির দ্বায়িত্ব পালন করেন। এ সময়ে তিনি একটি মিথ্যা মামলায় দীর্ঘদিন কারাবাস ভোগ করেন এবং ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয় তাকে। এরপরে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা দেখে তৎকালীন উপজেলা পর্যায়ের নেতারা তাকে ২০০২ সালে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক করেন এবং ২০০৪ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দ্বায়িত্ব পালন করেন। ছাত্রলীগের সভাপতি থাকা অবস্থায় ২০০৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে দলমত নির্বিশেষে তাকে বিপুল ভোটের মাধ্যমে ভাইস-চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন।

২০১২ সালে উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বিন্দ্বিতা করে ১৪১ ভেটের মধ্যে ৪৭ ভোট পেলেও তাকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক মন্ডলিতে কিংবা সদস্যের তালিকায় তাঁর নাম রাখা হয়নি। ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস-চেয়ারম্যান পদ থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে তখনও উপজেলার মানুষ দলীয় নমিনেশন না দেয়ায় তাকে বিপুল ভোটে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন। অপরদিকে রাজনৈতিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি এবং সামাজিক ক্ষেত্রেও ঈর্ষাণীয় সাফল্য অর্জন করেন খান মোঃ আবু বকর সিদ্দিকী।

এছাড়াও তিনি একাধিক সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়ীক ও সামাজকি সংগঠনের দ্বায়িত্বেও রয়েছেন। এর ফল স্বরুপ ২০১৭ সালে সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য বরিশাল বিভাগের শ্রেষ্ট উপজেলা চেয়ারম্যানের সম্মমনা দেওয়া হয় তাকে। তিনি বলেন, আমি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরে থেকে ব্যাপক উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছি। এরমধ্যে কিছু চলমান কাজও রয়েছে। বিগত দিনগুলোতে সাধারণ মানুষের পাশে যেমন ছায়াসঙ্গী হয়ে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকবো। আমি আবারও দ্বিতীয় বারের মতো উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে মির্জাগঞ্জ উপজেলাকে একটি আধুনিক, সমৃদ্ধশালী ও উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে গড়ে তুলবো। আমার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক শ্রম আর ত্যাগের মূল্যায়ন করে দল আমাকে আবারও মনোনয়ন দিবে বলে আমার বিশ্বাস।

ইউজি/কেএস

বাংলাদেশ সময়: ১৬:৩৪:৫৭ ● ৫২৬ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ