কলাপাড়ায় সোনাতলা নদীতে দখলদারের ছোবল
প্রথম পাতা »
পটুয়াখালী »
কলাপাড়ায় সোনাতলা নদীতে দখলদারের ছোবল
মেজবাহউদ্দিন মাননু, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥
সাগরপাড়ের জনপদ পটুয়াখালীর কলাপাড়ার এক নয়নাভিরাম নদীর নাম সোনাতলা। সোনাতলী নদীটি ২০কিলোমিটার দীর্ঘ। এক যুগেরও বেশি সময় আগে এ নদীতে দেড়তলা ও একতলা লঞ্চ চলাচল করত। সেসব এখন সুন্দর অতীত। আন্ধার মানিকের কলাপাড়া অংশের সাউদের ভাড়ানির দাস বাড়ি থেকে শুরু হয়ে নিজামপুরে গিয়ে ফের আন্ধারমানিকের সঙ্গে মিলেছে নদীটি। প্রচন্ড খর¯্রােতা এ নদীতে এখন আর ¯্রােতের তোড় নেই। এ নদীর সঙ্গে গাববাড়িয়া পয়েন্টে সংযোগ নদীতে ক্লোজার করায় নদীটির ভবিষ্যত অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়েছে। জোয়ারে শুধু ফুলে-ফেপে ওঠে। বর্তমানে নদীটি দখলে নেমেছে কয়েকটি প্রভাবশালীমহল।
শিববাড়িয়া মৌজার পুরান মহিপুর পয়েন্টে দেখা গেছে নদী দখল করে বেড়িবাঁধ দিয়ে মাছের কিংবা কাঁকড়ার ঘের করা হয়েছে। কুয়াকাটায় যেতে শেখ কামাল সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে বাম দিকে তাকালে এ দৃশ্য চোখে পড়বে। এখনও যেখানে জোয়ারে বুক সমান পানিতে ভরা থাকছে ওই এলাকা বহু আগেই চাষযোগ্য কৃষিজমি দেখিয়ে কাউকে বন্দোবস্ত দেয়ার জনশ্রুতি রয়েছে। এর একটু দুরে নদী তীর দখল করে ইটভাটা করা হয়েছে। এভাবে সোনাতলা নদীরতীরসহ খাস জমি দখল করে অন্তত পাঁচটি ইটভাটা করার অভিযোগ রয়েছে। নিয়ম রয়েছে সর্বোচ্চ জোয়ারের সময় নদীর তীরে যতদুর পানির প্রবাহ যাবে ততদুর পর্যন্ত নদীর সীমানা। এনদী দখল কিংবা পলিতে নব্যতা হারালে দুই পাড়ের অসংখ্য সংযুক্ত স্লুইস খাল ব্যবহার উপযোগীতা হারাবে। ফলে কৃষিকাজে ভয়াবহ বিপর্যয়ের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
উপকূলীয় জনকল্যান সংঘের সভাপতি মোঃ জয়নাল আবেদীন জানান, আমরা আগে থেকেই খাল নদী রক্ষায় অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের জন্য মানববন্ধন, স্মারকলিপি দিয়েছি। কৃষিকাজের স্বার্থে নদী রক্ষায় সরকারি উদ্যোগের দাবি এই সমাজকর্মীর। কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জগৎবন্ধু মন্ডল জানান, কলাপাড়ায় নদী-খাল দখলদার দখলদার উচ্ছেদ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এটিও সরেজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
কলাপাড়ার ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানান, নদী কিংবা খাল দখলদার যেই হোক উচ্ছেদ করা হবে। এজন্য একটি তালিকাও প্রস্তুত করা হয়েছে।
এমইউএম/এমআর
বাংলাদেশ সময়: ১৮:৫০:৫৯ ●
৩২৭ বার পঠিত
(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)