গোপালগঞ্জ সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষে গোপালগঞ্জের ঘোনাপাড়ায় চালু হতে যাচ্ছে এশিয়ার মধ্যে আধুনিক মানের বৃহৎ ওষুধ শিল্পপ্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) গোপালগঞ্জ তৃতীয় প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেছেন।
এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) একমাত্র সরকারি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান, যা মানবসেবায় অনন্য অবদান রেখে আসছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবায় সারা দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোর চাহিদার ৭২ শতাংশ ওষুধ ইডিসিএল সরবরাহ করে থাকে। এখানে উৎপাদন হবে পেনিসিলিন জাতীয় ১১ প্রকারের ওষুধ। যা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা যাবে। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জের ঘোনাপাড়া মোড়ের পাশে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ১০ একর জায়গা অধিগ্রহণ করে ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে এ আধুনিক মানের ওষুধ শিল্পপ্রতিষ্ঠান। অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পটিতে ৪টি ইউনিট রয়েছে, যার একটিতে তৈরি হবে পেনিসিলিন, অপরটিতে আই ভি ফ্লুইড ইনজেকশন, তৃতীয়টিতে জন্ম বিরতিকরণ পিল ও অন্যটিতে আয়রন ট্যাবলেট। আর এ প্রকল্পটি চালু হলে এখানে প্রায় এক হাজার বেকার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। বর্তমানে এখানে ২১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রতিষ্ঠানটি চালুর জন্য দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতিষ্ঠানটি চালু হলে একদিকে যেমন বেকার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে, তেমনি এলাকার মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে প্রতিষ্ঠানটি। ইডিসিএল সারা দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল ও কমিউনিটি ক্লিনিকে ওষুধ সরবরাহ করে চিকিৎসা সেবায় অবদান রেখে আসছে।
এসেনসিয়াল ড্রাগস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ডা. এহসানুল কবির জগলুল জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্পের মধ্যে গোপালগঞ্জ এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (তৃতীয় প্রকল্প) একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে সম্পন্নের চেষ্টা চলছে। খুব শিগগিরই পূর্ণাঙ্গভাবে ওষুধ কারখানা চালু করা হবে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই একটি ইউনিট চালু করা হবে। যেখানে পেনিসিলিন জাতীয় ওষুধ উৎপাদন করা হবে। ওষুধ কারখানাটি আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে নির্মাণ করা হচ্ছে, যাতে করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও ওষুধ রপ্তানি করা সম্ভব হবে।
এইচবি/এমআর