মেয়েকে উত্যক্ত করায় নাজিরপুরে ভগ্নিপতির লিঙ্গ কর্তন
প্রথম পাতা »
পিরোজপুর »
মেয়েকে উত্যক্ত করায় নাজিরপুরে ভগ্নিপতির লিঙ্গ কর্তন
পিরোজপুর সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পিরোজপুরের নাজিরপুরে মেয়েকে উত্যক্ত করায় ভগ্নিপতি মোঃ লিটন হোসেনের (৩২) লিঙ্গ কর্তন করলেন শ্যালক (স্ত্রীর বড় ভাই)। আর এ ঘটনায় শ্যালক মো. মামুন ডাকুয়া (৪৫)কে আটক করেছে থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নের মুগারঝোর গ্রামে।
আটককৃত শ্যালক মামুন ডাকুয়া ওই গ্রামের মোঃ মালেক ডাকুয়ার পুত্র। আর ভগ্নিপতি লিটন হোসেন জেলার নেছারাবাদ উপজেলার বৈলদিয়া ইউনিয়নের আদর্শ বয়া গ্রামের মোঃ সৈয়দ বাহদুরের পুত্র। সে পেশায় অটো টেম্পু চালক। এতে গুরুতর আহত ভগ্নিপতি মামুন বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিবির চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় আহত লিটনের পিতা বাদী হয়ে শ্যালক মামুন ডাকুয়ার বিরুদ্ধে রবিবার (৩১ মে) রাতে নাজিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভগ্নিপতি লিটন গেল ২৬ মে তার শ্যালকের (স্ত্রীর বড় ভাই) বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে বেড়াতে যান। শনিবার রাতে সে (লিটন) তার শ্যালক মামুনের ঘরে স্ত্রী ও ২ সন্তানদের নিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। এসময় ওই রাতের আড়াইটার দিকে শ্যালক মামুন ডাকুয়া তার ঘরে থাকা ধারালো দাও দিয়ে তার ভগ্নিপতি লিটনের লিঙ্গ কেটে দেন। মামলায় সূত্রে জানা গেছে, ভগ্নিপতি লিটনের সাথে তার মেয়ের অনৈতিক সম্পর্ক সন্দেহে শ্যালক মামুন ডাকুয়া এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
লিটনের স্ত্রী সুখি বেগমের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি তার স্বামী কোন ধরনের অপরাধী নন ও তার ভাই (শ্যালক) মামুন ষড়যন্ত্র করে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে দাবী করে তিনি জানান, তার ভাইজি’র সাথে স্বামীর অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে এমন সন্দেহে তার ভাই এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
এ ঘটনায় আটককৃত মামুন ডাকুয়া জানান, স্থাণীয় একটি মাদরাসায় ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া তার কন্যাকে ভগ্নিপতি লিটন বিগত এক বছর যাবৎ উত্যক্ত করে আসছে। বিষয়টি তার বোনকে জানানো সহ ভগ্নিপতিকে এ বিষয় থেকে সরে দাঁড়াতে একাধীকবার অনুরোধ করার পরও তিনি সাড়া না দেওয়ায় এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
এ ব্যাপারে থানা পুলিশের অফিসার ইন চার্জ মে. মুনিরুল ইসলাম মুনির জানান, এ ঘটনায় আহত ভগ্নিপতি লিটনের পিতা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত মামুন ডাকুয়াকে রাতেই আটক করা হয়েছে।
এমএইচএম/এমআর
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৪৬:০৮ ●
৭৫০ বার পঠিত
(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)