আমতলীতে ঝড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অর্ধশতাধিক ঘর বিধ্বস্ত

প্রথম পাতা » বরগুনা » আমতলীতে ঝড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অর্ধশতাধিক ঘর বিধ্বস্ত
বৃহস্পতিবার ● ২৮ মে ২০২০


---

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
কালবৈশাখী ঝড়ে বরগুনার আমতলী উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অর্ধশতাধিক ঘর সম্পূর্ণ ও আশিংক বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে বুধবার রাতে। এতে অন্তত অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা সংশ্লিষ্টদের।
জানা গেছে, বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে হঠাৎ প্রবল বেগে কাল বৈশাখী ঝড় আমতলীতে আঘাত হানে। এ ঝড়ের স্থায়ীত্ব প্রায় আধা ঘন্টা। আধা ঘন্টার কালবৈশাখী ঝড়ে চাওড়া ইউনিয়নের কাউনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পুর্ব কুকুয়া গ্রামের আবদুল হক ফকু হাওলাদারের গরুর খামার ঘর, বিধবা দেলোয়ারা বেগমের বসত ঘর, সেকান্দার বেপারীর মুদি মনোহরদি দোকান, শানু মৃধার বসত ঘর এবং পশ্চিম সোনাখালী গ্রামের মিজানুর রহমানঘরসহ  উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অন্তত অর্ধশতাধিক টিন শেডের ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে অন্তত অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, চাওড়া কাউনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিন শেডের ঘর বিধ্বস্ত ও পাশে পাকা ভবনের কার্নিশ ভেঙ্গে গেছে। পুর্ব কুকুয়া গ্রামের পাঁচটি ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে।
কাউনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ ফেরদৌস আলম রাসেল সাগরকন্যাকে বলেন, ঘুর্ণিঝড় সিডরে স্কুল ভবটি ভেঙ্গে পড়েছিল। ওই সময় তিন লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। বুধবার রাতে আবার কালবৈশাখী ঝড়ে সম্পুর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ না করলে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে সমস্যা হবে।
বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোঃ রাশেদুল হাসান বশির মৃধা বলেন, ভেঙ্গে যাওয়া বিদ্যালয় ভবনটি দ্রুত নির্মাণের দাবী জানাই।
পুর্ব কুকুয়া গ্রামের আবদুল হক ফকু হাওলাদার বলেন, ঝড়ে আমার গরুর খামার ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে অন্তত দুই লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
আমতলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মজিবুর রহমান বলেন, কাউনিয়া বিদ্যালয় ভবন বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পেয়েছি। ভবন নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, আপাতত ভবন মেরামত করা হবে।
ঘুর্ণিঘড় প্রস্তুতি কর্মসুচী সহকারী পরিচালক কেএম মাহতাবুল বারী  বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ের স্থায়ীত্ব ছিল আধা ঘন্টা।
আমতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মফিজুল ইসলাম বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে ২৬টি ঘর ভেঙ্গে পড়েছে। তিনি আরো বলেন, ক্ষয়ক্ষতির তালিকা নিরুপনে কাজ চলছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ঢেউটিন দেয়া হবে।

এইচএকে/এনবি

বাংলাদেশ সময়: ১৪:২৪:৪১ ● ৩৭০ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ