বাউফলে কে যুবলীগ কর্মী হত্যার ঘাতক?

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » বাউফলে কে যুবলীগ কর্মী হত্যার ঘাতক?
বুধবার ● ২৭ মে ২০২০


বাউফলে কে যুবলীগ কর্মী হত্যার ঘাতক?

পটুয়াখালী সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

পটুয়াখালীর বাউফলে স্থানীয় এমপি ও পৌর মেয়র পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে সাদা লুঙ্গি ও কালো ফুল হাতা গেঞ্জি পরা ধারালো ছুরি হাতে এক সুদর্শন কিশোর’র ছবি প্রকাশ পাওয়ার পর তোলপাড় শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে ওই কিশোরই কি যুবলীগ কর্মী তাপসের ঘাতক ?  তাপস আহত হবার পরে কিছু যুবকের পাশে ছুরি হাতে তাকে দেখা গেছে।
জানা গেছে, ছুরি হাতে ওই যুবকের নাম সাইমুন প্যাদা। ১৬ থেকে ১৮ বছর তার বয়স। বাবার নাম ঝন্টু প্যাদা। তিনি ঢাকায় সিএনজি গাড়ী চালাতেন। বর্তমানে প্যারালাইসড অবস্থায় বিছানায় শয্যাশায়ী। মা নাজমা বেগম কোন রকমে সংসার চালাচ্ছেন। সাইমুন বাউফল সরকারী ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেনীর ছাত্র। দুই ভাইয়ের মধ্যে বড়। ছোট ভাই রাব্বি বয়স ১২ বছর । সে বাউফল মডেল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র। বাউফল সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে তার বাড়ি।
ঘটনার দিন ২৪ মে দুপুরে এমপি ও মেয়র সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে সাইমুন সাদা লুঙ্গি ও কালো ফুল হাতার গেঞ্জি পরে থানা সংলগ্ন ডাকবাংলোর দক্ষিন পার্শ্বে লিটুর চায়ের দোকানের সামনে দাড়িয়েছিলেন। এর কিছুক্ষণ পরে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটলে ওই সময় তাকে ছুড়ি হাতে এবং দাশপাড়া ও কালাইয়া ইউনিয়নের বেশ কিছু লোকের হাতে দেশীয় অস্ত্র রামদা সহ ডাকবাংলোর ভিতরে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। এ ঘটনার একদিন পর নিহত যুবলীগ নেতা তাপসের ভাই পঙ্কজ দাস বাদি হয়ে ৩৫ জনকে আসামী করে বাউফল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায়  বাউফল পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ জিয়াউল হক জুয়েলকে প্রধান আসামী করা হয়। এই মামলায় সাইমুন তিন নম্বর ও সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে ২০ নম্বর আসামী করা হয়েছে। তবে তাপস হত্যার পর ওই দিন রাতেই পুলিশ তার বাড়ি ঘর তল্লাশি চালিয়েছে। সহকারী পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন জানান, বিভিন্ন মাধ্যম থেকে পাওয়া ভিডিও ফুটেজ দেখে প্রকৃত হত্যকারীকে বের করার চেষ্টা চলছে।

এডি/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৯:০৯:৩৮ ● ৫২১ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ