বাউফলে তাপস হত্যার বিচার দাবি মেয়রের
প্রথম পাতা »
পটুয়াখালী »
বাউফলে তাপস হত্যার বিচার দাবি মেয়রের
পটুয়াখালী সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পটুয়াখালীর বাউফলে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্যবিধি নির্দেশনা সংবলিত ব্যানার স্থাপনে বাঁধা ও ভাংচুর পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিক সংম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ মে) দুপুর ১টায় বাউফল পৌরসভা কার্যালয়ের ডা: এ, এফ, নাসির মিলনায়তনে বাউফল পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক জুয়েল এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। ওই সময় মেয়রের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কাউন্সিলর বাবুল খান।
বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাস্থ্যবিধি নির্দেশনা সংবলিত ব্যানার পৌরসভার উদ্যেগে পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ন জায়গায় স্থাপন করা হয়েছে। যার অধিকাংশ ব্যানার ঘুর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে ছিড়ে ও ভেঙ্গে গেছে। নতুন করে ঈদের আগের দিন রবিবার (২৪ মে) দুপুর ১টার সময় বাউফল থানার পূর্ব পাশে ডাক বাংলোর সামনের রাস্তায় খোলা স্থানে সেই ব্যানার পুন: স্থাপনের কাজ শুরু হয়। ওই সময় নাজিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম ফারুক ৩০-৪০জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বাঁধা ছিড়ে ফেলে ও ভাংচুর করে। খবর পেয়ে আমি সেখানে যাই। এর কিছু সময় পরে সেখানে সাংবাদিক, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত হন। তারা বিষয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য বাউফল থানার মধ্যে আমাকে ও ফারুক সাহেবকে নিয়ে বৈঠকে বসেন। বৈঠক চলাকালীন সময়ে স্থানীয় এমপি আ,স,ম ফিরোজ সাহেবের ভাতিজা কালাইয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনির হোসেন মোল্লার নেতৃত্বে ৩০-৪০জনের বহিরাগত একটি সন্ত্রাসী দল এসে ফের ব্যানার স্থাপনের বাঁশ ভাংচুর করে এবং আমার এক পরিচ্ছন্নকর্মীকে মারধর করে। যা উপস্থিত পুলিশ ভাইয়েরা দেখেছেন। শুনেছি পুলিশ ভাইয়েরা লাঠিচার্জ করে পরিবেশ শান্ত করে। যা আপনাদের সহকর্মীদের ক্যামেরায় ভিডিও ধারণ করা হয়েছে। এছাড়াও যেখানে ঘটনা ঘটেছে তার কাছাকাছি একটি বাসায় সিসি ক্যামরোয় এসব দৃশ্য ধারন হয়েছে। যা ইতমধ্যে পুলিশ প্রশাসন হস্তগত করেছে জেনেছি। পৌরসভার ভোটার না হয়েও পৌরসভার সরকারি কাজে বাধা দিয়ে তারা বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে এবং লাশের রাজনীতি শুরু করেছে। আমি যতটুকু জেনেছি ঘটনাস্থল ছিল রাস্তার ওপর। কিন্তু রাস্তায় কোনো রক্তের চিহ্ন নেই। তাপসকে পুলিশ ডাক বাংলোর মধ্যে ঢুকিয়ে দিলেন। সেখানে একবারের জন্যও আমার কোনো নেতা কর্মী প্রবেশ করেনি। অথচ সেখান থেকেই নাকি তাপসকে রক্তাক্ত অবস্থায় বের করা হয়। আমিও তাপস হত্যার বিচার চাই। খুনের আসল রহস্য উদ্ঘাটন করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। সংবাদ সম্মেলনে জেলা উপজেলার বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এডি/এমআর
বাংলাদেশ সময়: ১৬:০১:০৭ ●
২০৫৩ বার পঠিত
(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)