কলাপাড়ায় খুশির ঈদ কেড়ে নিল আগুন

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » কলাপাড়ায় খুশির ঈদ কেড়ে নিল আগুন
সোমবার ● ২৫ মে ২০২০


কলাপাড়ায় খুশির ঈদ কেড়ে নিল আগুনে।

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ইসলামপুর গ্রামে খুশি বেগমের ঈদের আনন্দ কেড়ে নিল আগুন। রবিবার (২৪ মে) সকাল ১০ টার দিকে তার ঘরে আগুন লেগে সম্পূর্ন পুরে ছাই হয়ে গিয়েছে। কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দুই ঘন্টা চেষ্টার পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে। কিন্তু ততক্ষণে ঘরসহ সমস্ত কিছু পুরে ছাই হয়ে যায়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, রবিবার বিকালে ইসলামপুর গ্রামের গোলাম মাওলার স্বামী পরিত্যাগতা মেয়ে খুশি বেগম তার একমাত্র মেয়েকে নিয়ে ইসলামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে নিজ বাড়িতে বসবাস করে আসছে। ঘটনার দিন সকালে খুশি বেগমের মেয়ে রান্না চাপিয়ে পাশের সবজি ক্ষেতে গরু তাড়াতে যায়। সেখান থেকে ফিরতে একটু দেরি হওয়ায় চুলার পাশে থাকা লাকড়িতে আগুন ধরে যায়। আগুন দেখে মেয়ের চিৎকার শুনে পাশের একটি ছোট্ট ঘরে ঘুমানো অবস্থা হতে খুশি বেগম ছুটে এসে দেখে সমস্ত ঘরে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়েছে। মা মেয়ে দুজনের চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে আগুন নিবানোর চেষ্টা করে।
পরে কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসে। দুই ইউনিটের ১১ জন সদস্যের প্রায় দুই ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর কারনে পাশে থাকা একটি ঘর অগ্নিকান্ডের হাত থেকে বেঁচে যায়। প্রতক্ষ্যদর্শীদের মতে, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সময় মত না আসলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা ছিল।
অগ্নিকান্ড সর্বোস্ব হারানো খুশি বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, একমাত্র মেয়েকে নিয়ে কোনমতে দিন  কাটাচ্ছিলাম। আগুনে ঘর পুরে আমার সবকিছু শেষ করে দিল। নগদ অর্থসহ প্রায় দুই লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান।
অগ্নিকান্ডের ঘটনা শুনে ২৪ মে রবিবার শেষ বিকেলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার কে সমবেদনা জানাতে ও তাদের খোঁজ খবর নিতে কলাপাড়া পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বিশ্বাস, সিনিয়র  সহ-সভাপতি মোঃ আমিনুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক মো. ওমর ফারুকসহ স্বেচ্ছাসেবলীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা সেখানে উপস্থিত হন। এসময় পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি তার নিজস্ব তহবিল হতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের হাতে নগদ ৫ হাজার টাকা তুলে দেন। অগ্নিকান্ডের বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বরত টিম লিডার মো. আবুল কালাম আজাদ ও স্টেশন অফিসার মো. এনামুল হক সুমন জানান, আমাদের রিজার্ভে থাকা পানি ও বাড়ির পাশে পুকুর থাকার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে আমাদের সুবিধা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের অগ্নিকাণ্ডের কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেড় হতে দুই লক্ষ টাকার হবে বলে তারা ধারনা করেন। রান্নার চুলার লাকড়ি হতে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলেও তারা জানান।


এসকেআর/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৭:২৩:০৮ ● ৫৭২ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ