পিরোজপুর সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পিরোজপুরের ১০ গ্রামের সহস্ত্রাধিক পরিবার রবিবার (২৪ মে) ঈদ পালন করছেন। তারা সৌদী আরবের সাথে মিল রেখে এসব পরিবার ঈদ পালন করছেন বলে জানান।
জানা গেছে, জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার ৬ গ্রাম, কাউখালী উপজেলার ১টি গ্রাম, নাজিরপুরের ১টি গ্রাম, পিরোজপুর সদরের ২টি গ্রাম এ ঈদ পালন করছেন।
স্থাণীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার মঠাবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের ভাইজোড়া, কচুবাড়িয়া, সাপলেজা, ঝাটিবুনিয়া, খেতাছিড়া ও চকরগাছিয়া এ ৬ গ্রামের প্রায় ৬ শতাধিক, জেলার কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের শিয়ালকাঠী গ্রামের ২৫/৩০ পরিবার, জেলার নাজিরপুর উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের খেজুরতলা গ্রামের ৬০ পরিবার, জেলার সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের কদমতলা ও একপাই জুজখোলা গ্রামের অর্ধশত পরিবার এ ঈদ পালন করছেন।
জেলার সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের একপাই জুজখোলা গ্রামের মতিউর রহমান ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ি মসজিদে আজ ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শামসুল আলম খন্দকার জানান, সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রোববার সকাল ৯টায় স্বাস্থ্য বিধি মেনে স্থানীয় ২টি মসজিদে ঈদ-উল-ফিতরের নামাজের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়।
জেলার নাজিরপুরের শেখমাটিয়া ইউনিয়নের খেজুরতলা ইউপি সদস্য মো. বাবুল খান জানান, তারা ৬০পরিবারের ৩৫ পুরুষ স্থাণীয় খেজুরতলা বাজারের আল-আমিন মসজিদে রবিবার সকাল ৯টায় ঈদের নামাজ আদায় করেন। ওই নামাজে ইমামতি করেন স্থানীয় স্কুল শিক্ষক মো. কামরুজ্জামান। তারা প্রায় এক যুগ ধরে এ মসজিদে ঈদের নামাজ জামায়াতের সাথে আদায় করছেন। প্রতি বছরে পার্শ্ববর্তী কচুয়া ও পিরোজপুর সদরের কিছু পুরুষ লোক এ মসজিদে ঈদের নামাজ পড়তে আসেন। কিন্তু চলতি বছরে কনোরা সমস্যার কারনে তাদের আসতে নিষেধ করেছেন। এ কারনে তারা আসেন নি। তিনি আরো জানান, তারা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে গত ২৪ এপ্রিল শুক্রবার থেকে রোজা শুরু করেন। আর সে অনুযায়ী গতকাল শনিবার (২৩মে) তাদের ৩০টি রোজা পূর্ণ হওয়ায় রোববার (২৪ মে) তারা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন।
জেলার কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠী গ্রামের মো. মারুফ হোসেন জানান, তারা ৭১জন পুরুষ ওই দিন সকাল ৮টায় স্থাণীয় বেলতলা মোল্লা বাড়ি জামে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। ওই নামাজে ইমামতি করেন ওই মসজিদের ইমাম মাওলানা মহিউদ্দিন পান্নু।
উল্লে¬খ্য, শুরেশ্বর পীরের অনুসারীরা প্রতি বছর সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রমজান (ঈদ-উল-ফিতর)ও কোরবানীর (ঈদ-উল-আযহা) দুই ঈদ পালন করে থাকেন।
আরএইচএম/এমআর