আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে সুপার সাইক্লোণ আম্ফান। বুধবার (২০ মে) সন্ধ্যা নাগাত উপকুলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উপকুলের মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘূর্ণিঝড় আতঙ্কে উপকূলের মানুষ মঙ্গলবার রাত থেকে সাইক্লোণ শেল্টারে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। বুধবার দুপুর পর্যন্ত আমতলী ও তালতলীর এক’শ ২৮টি সাইক্লোণ শেল্টারে অন্তত ৫০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
আমতলী উপজেলা ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী অফিস সুত্রে জানাগেছে, সুপার সাইক্লোণ আম্ফান পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩’শ ৫০ কিলোমিটার দুরে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। উপকুলের আমতলী ও তালতলীতে ১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১০-১৫ ফুট জলোচ্ছাস হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকে দমকা বাতাস, ভারী বৃষ্টি হওয়ায় মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বুধবার স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপকুলের নি¤œাঞ্চল তলিয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড় আতঙ্কে উপকুলের মানুষ মঙ্গলবার রাত থেকে সাইক্লোণ সেল্টারে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। বুধবার দুপুর পর্যন্ত উপকুলের আমতলী ও তালতলীতে এক’শ ২৮টি সাইক্লোণ সেল্টারে অন্তত ৫০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এদিকে সাইক্লোণ সেল্টারে আশ্রয় নেয়া মানুষের মাঝে আমতলীর ইউএনও মনিরা পারভীন ও তালতলী ইউএনও মোঃ আসাদুজ্জামান খিচুরী ও শুকনা খাবার বিতরন করেছেন। এদিকে উপজেলা প্রশাসন ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলায় তৎপর রয়েছে। দূর্ঘটনা এরাতে আমতলী পায়রা ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
আমতলী চলাভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাইক্লোণ সেল্টারে তিন শতাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বলেন জানান ইউপি চেয়ারম্যান মোতাহার উদ্দিন মৃধা।
তালতলী উপজেলার গাবতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোণ সেল্টার, ফকিরহাট সাইক্লোণ সেল্টার, বগী সাইক্লোণ সেল্টার, আমতলী চলাভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সাইক্লোণ সেল্টার, আমতলী বন্দর মাদ্রাসা সাইক্লোণ সেল্টার ঘুরে দেখাগেছে সাইক্লোণ সেল্টারে সহ¯্রাধীক মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
গাবতলী ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচীর টিম লিডার মোঃ ফারুক মোল্লা বলেন, গাবতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাইক্লোণ সেল্টারে অর্ধ-শতাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি।
তালতলীর নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের ফকির হাট বাজারের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি মোঃ আবদুস ছালাম মিয়া বলেন, সাইক্লোণ সেল্টারে শতাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান, ইতিমধ্যে উপজেলার আশ্রয় কেন্দ্রে ১৪ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয় নেয়া মানুষের শুকনা খাবার, বুট মুড়ি ও খিচুরীর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিার পারভীন বলেন, উপজেলার সাইক্লোন সেল্টারে ৩৫ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয় নেয়া মানুষের মাঝে শুকনা থাকার বিতরন করা হয়েছে।
এমএইচকে/এমআর