চরফ্যাশন (ভোলা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
চরফ্যাশন উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ঢালচর, চরকুকরি-মুকরি ও মজিবনগর ইউনিয়নের মোট ২৫ হাজার মানুষকে উপজেলা সদরে আনা সম্ভব হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ইউপির চেয়ারম্যানগন জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকাল থেকে বুধবার বেলা ১২টা পর্যন্ত ট্রলারযোগে ৩টি ইউনিয়নের লোকজনকে আনায়ন করা হয়েছে। তারা নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করেছেন। চরফ্যাশনে বৃষ্টি হচ্ছে এবং সামান্য বাতাস রয়েছে। তবে রাত ১২টার পর থেকে বাতাসের আদ্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঢালচর ইউপির চেয়ারম্যান আবদুস ছালাম হাওলাদার বলেন, আমরা ঢালচরের ১০হাজার মানুষের মধ্যে ৫হাজার লোককে চরফ্যাশনে দক্ষিণ আইচা কচ্ছপিয়া এলাকায় আনা হয়েছে। বাকীরা ঢালচরে অবস্থান করছে। তবে ঢালচরে পর্যপ্ত পরিমান সাইক্লোন শেল্টার বা ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নেই বলেও তিনি জানিয়েছেন।
মজিব নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল ওদুদ মিয়া বলেন, প্রায় ৪/৫হাজার লোক চরফ্যাশনের নুরাবাদ, চরকলমী ও নীলকমল এলাকা আসছে। এইসব এলাকায় গুলোতে ঘূর্ণিঝড় আম্পান এর সতর্কীকরণ প্রচারণার লক্ষ্যে মাইকিং করছে সিপিপি কর্মীরা।
এসময় সতর্কীকরণ এ প্রচারণায় অংশ নেন চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন, উপজেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক মোকাম্মেল হক লিমন, উপজেলা টীম লিডার বাহাউদ্দিন জসিম সরমান ও কুকরী-মুকরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন প্রমুখ।
সিপিপির উপ-পরিচালক মো. সাহাবুদ্দিন জানান, জেলায় এখন পর্যন্ত৭ নম্বর বিপদ সংকেত চলছে, সিপিপি কর্মীরা প্রচারণা করছে। চরকুকরি মুকরির ইউপির চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন জানান, এখানকার বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে সিপিপি কর্মীরা নিরলসভাবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া সাইক্লোন সেন্টারসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে আশ্রয় কেন্দ্র যাওয়া শুরু করেছে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন আখন বলেন, উপজেলা আম্পান নামক ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় উপজেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির উদ্যোগে সভা করা হয়েছে। উপজেলা কন্ট্রোল কক্ষ খোলা হয়েছে। শুকনো খাবার প্রস্তত রয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ভোলার ২১ চরের ৩ লাখ বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে আনার কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক।
এএইচ/এমআর