নওগাঁ সাগরকন্যা প্রতিনিধি ॥
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বর্তমানে দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ রয়েছে। আপাতত দেশে বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানি করার কোন প্রয়োজন নেই। তিনি বৃহস্পতিবার নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলা খাদ্য গুদাম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের আরো বলেন, খাদ্যশষ্যের বিশেষ করে চালের মূল্য বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। এছাড়াও ভিজিডি, ভিজিএফ ইত্যাদি েেত্র এখন উন্নতমানের চাল সরবরাহ করা হচ্ছে। পরে তিনি তারই সম্মানে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সম্বর্ধনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও নির্বাচনী ইশতেহারের ওপর আস্থা রেখে জনগণ আওয়ামী লীগকে ম্যান্ডেট দিয়েছে। দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের জনগণের সেই আস্থার মূল্যায়ন করতে হবে। মহাদেবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নওগাঁ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিমের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ সম্বর্ধনা সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোবারক হোসেন, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কামাল হোসেন, জেলা পরিষদের সদস্য মো.ময়নুল ইসলাম ময়েন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব ভোদনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনসমুহের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনের পূর্বে যে ২১ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেন, তা বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের ইশতেহার’-এ কথা উল্লেখ করে সাধন চন্দ্র বলেন, ইস্তেহার অনুযায়ী কাজ করলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়া কেবল সময়ের দাবিমাত্র। তিনি বলেন, বিগত ১০ বছরে উন্নয়নের মাপকাঠিতে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আগামি ৫ বছর উন্নয়নের ২১ দফা বাস্তবায়িত হলে ৪০ বছরে আওয়ামী লীগকে মতা থেকে কোন শক্তিই সরাতে পারবে না,কারণ মানুষ উন্নয়ন চায়। উন্নয়নের সাধ পেয়েছেন বলেই গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার পে গণরায় প্রদান করা হয়েছে বলেও বলেন তিনি।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘অনেক বড় বিজয় মানেই অনেক বড় আবেগ। আর এই আবেগকে সামলাতে না পারলে অনেক বড় বিপর্যয়ও নেমে আসতে পারে। ১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে আপমর জনগণ অস্ত্র হাতে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। বর্তমানে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা দেশ পরিচালনা করছেন। তাঁকে সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হবে।
এফএন/কেএস