মহিপুর সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পটুয়াখালীর মহিপুরে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সাংবাদ সম্মলেন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ ম) সকাল ১০ টায় মহিপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ খানের নাতি মিজানুর রহমান বলেন লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২৭ এপ্রিল ২০২০ তাদের নিজস্ব বসতভিটার গাছের ডাল কাটাকে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধার বড় ছেলে আইয়ুব খান বাচ্চু এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রী আইযুব খান বাচ্চুর মা হোরেয়া বেগম (৮০) সহ অন্যান্যদের ওপর পরিকল্পিত ভাবে দেশিয় অস্ত্র (বগি, দা) দিয়ে হামলা চালানো হয়। এই হামলার নেতৃত্বে ছিলেন গুরুতর আহত আইযুব খান বাচ্চুর আপন (মেজ) ভাই জাকির হোসেন খানসহ তার ছেলে ও স্ত্রী। এসময় হত্যার উদ্দেশ্যে আইয়ুব খানের উপরে হামলাকারীরা এলোপাতাড়ি কোপ দিলে গুরুতর তার মাথায় এবং বাম চোখে আঘাত লাগে। তাৎক্ষণিক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা জাতীয় চক্ষু হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে তার চোখ হারানোর শঙ্কার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। আইযুব খান বাচ্চুর ছেলে মিজানুর রহমান আরও বলেন, বিগত দিনে তারা তাদের নামে বিভিন্ন ধরনের একাধিক মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করে হয়রানি করেছে। এর আগে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার ছোট ছেলে জহিরুল ইসলামের উপরের হামলাকারীরা খুনের চেষ্টা চালিয়েছিল। এতেই তারা ক্ষান্ত হয়নি, তারা আমার খেতাবপ্রাপ্ত শহীদ মুক্তিযোদ্ধা দাদার আত্মত্যাগকে প্রশ্নবিদ্ধ করারও অপচেষ্টা চালিয়েছিল। এসময় শহীদ মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তার এবং তার বড়ছেলে আইয়ুব খান বাচ্চু ও সেজো ছেলে জহিরের উপর একাধিকবার প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে হামলা চালায় আমার মেজ ছেলে জাকির ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। এসময় তিনি অভিযোগে জানান, সর্বশেষ হামলা মামলার ৫ নম্বর আসামি ও হুকুমদাতা রোকেয়া বেগমকে এখনো গ্রেফতার করেনি পুলিশ। সে এখনো দা-ছেনা নিয়ে তাদের উপরে আক্রমণের চেষ্টা করে আসছে। হামলা কারীরা হামলা করেই থেমে যায়নি এখনো তারা বিভিন্ন মাধ্যমে
আহতদের পরিবারকে হত্যার হুমকি দিয়ে এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়।
এবিষয় সাবেক ইউপি সদস্য হাজী আবুল হাসেম হাওলাদার জানান, তাদের বিরোধ দীর্ঘদিনের, আমিসহ একাধিক লোক মিমাংসার চেষ্টা করলেও জাকির মানেনি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহিপুর থানার এস আই তারেক মাহামুদ জানান, মামলার তদন্ত প্রায় শেষের পথে, মেডিকেল রিপোর্ট পেলেই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
এমই/এমআর