বাউফলে উনি আওয়ামী লীগ করেন, তাই…!

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » বাউফলে উনি আওয়ামী লীগ করেন, তাই…!
রবিবার ● ১০ মে ২০২০


প্রতীকী ছবি

পটুয়াখালী সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নে এক আওয়ামী লীগ নেতার পরিবারের পাঁচ সদস্য সরকারি একাধিক সুবিধা পাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আওয়ামী লীগ নেতার নাম আবদুল বারেক মুন্সী (৭৫)। তিনি কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আবদুল বারেক মুন্সির পরিবারের পাঁচ সদস্য সরকারি হিসেব অনুযায়ী নয়জনের সুবিধা ভোগ করছেন। আবদুল বারেক জেলে না হয়েও পান জেলেদের ভিজিএফর ৪০ কেজি করে চাল। পান বয়স্কভাতাও। এছাড়াও তাঁর নাম রয়েছে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকায়। স্ত্রী গোলেনুর বেগমও (৬৫) পান বয়স্কভাতা। ছেলে মো. কামাল মুন্সি (৪৮) ও শহিদুল মুন্সির (৪০) নাম রয়েছে জেলেদের ভিজিএফর সুবিধাভোগীর তালিকায়। এছাড়াও এ দুজনের নাম রয়েছে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকায়ও। আরেক ছেলে মো. রিয়াজ মুন্সি (৩৫) ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করলেও তাঁর নাম রয়েছে জেলেদের ভিজিএফর সুবিধাভোগীর তালিকায়। এসব তথ্যের কথা স্বীকার করেন আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল বারেক মুন্সীও। তাঁর প্রশ্ন, আপনি (সাংবাদিক) জানলেন কিভাবে! তবে তিনি জানালেন, তাঁর ছেলেরা আলাদা থাকেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, পরিবারটি স্বচ্ছল। যা এলাকার সবাই জানে। অথচ দরিদ্রদের একাধিক সুবিধা দেওয়া হচ্ছে তাঁদেরকে।
সংশ্লিষ্ট সাত নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ফোরকান আকন সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে এ বিষয়ে তিনি বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। বাউফল উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান সাগরকন্যাকে বলেন, ভাতা নীতিমালা অনুযায়ী একই ব্যক্তি এবং একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি সরকারের একাধিক সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না। কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন লাভলু বলেন, আবদুল বারেক মুন্সী ও তাঁর তিন ছেলের সরকারি বিভিন্ন সুবিধা পাওয়ার  বিষয় আমার জানা নেই। তবে আবদুল বারেক মুন্সীর স্ত্রী গোলেনুর বেগমের বয়স্ক ভাতার সুবিধাটি আমি দিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:২৬:২৮ ● ৮৪২ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ