রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
স্বাস্থ্যবিধি মেনে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা দুই ভারতীয় নাগরিক ও এক স্বাস্থ্যকর্মীসহ চারজন বাড়ি ফিরছেন। তাদের করোনামুক্ত ঘোষণা করার পর রোববার (১০ মে) দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
এসময় ফুলের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা তহবিল থেকে প্রত্যেককে উপহার হিসেবে ৫ হাজার টাকার চেক এবং ইফতার সামগ্রী তুলে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বে) মো. মনিরুল ইসলাম।
জানা গেছে, তাবলিগ জামাতে রাঙ্গাবালী আসা ভারতের বিহারের নাগরিক আব্দুল মাজিদ, ইব্রার হোসেন, পাবনা জেলা থেকে আসা ওমর ফারুক, ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপসহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. ফিরোজ মাহমুদের বিগত ২১ এপ্রিল করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়।
পরে উপজেলার ফুলখালী গ্রামে অবস্থিত তাবলিগ জামাতের মারকাজে তাবলিগের তিনজন এবং রাঙ্গাবালী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ওই স্বাস্থ্যকর্মীকে সেলফ আইসোলেশনে রাখা হয়। সেখানে স্বাস্থ্য বিধি ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরামর্শ নেওয়ার পর পুনরায় ২ মে দ্বিতীয় ও ৫ মে তৃতীয় দফায় ওই চারজনের নমুনা সংগ্রহ করা হলে ফলাফল নেগেটিভ আসে। সর্বশেষ শুক্রবারের ফলাফলের ভিত্তিতে তাদেরকে করোনামুক্ত ঘোষণা করা হয়।
করোনাজয়ী উপসহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. ফিরোজ মাহমুদ বলেন, ‘স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেছি। তাই সকলের দোয়া ও ভালবাসায় আমি সুস্থ্য হয়ে আজ বাড়ি ফিরছি।’ উপজেলা স্বাস্থ্য (অতিরিক্ত দায়িত্বে) মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই তাদেরকে সেলফ আইসোলশনে রেখে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরামর্শ দেওয়ায় তারা সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন। এছাড়া সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় জনসচেতনতা বৃদ্ধির কারণে এই চারজনের কাছ থেকে অন্য কারও কাছে করোনা সংক্রমণ ছড়ায়নি।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে চার করোনাজয়ীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে প্রত্যেককে জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষরিত ৫ হাজার টাকার চেক ও ইফতার সামগ্রী দেওয়া হয়। করোনামুক্ত তাবলিগ জামাতের দুই ভারতীয় ও এক পাবনা জেলার বাসিন্দা আজই রাঙ্গাবালী ত্যাগ করে নিজ ঠিকানার উদ্দেশ্যে রওনা দিবে। এজন্য তাদেরকে ছাড়পত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেওয়া হয়েছে। আর স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মী আজ থেকে স্বাভাবিক জীবন শুরু করবেন।’
কেএইচ/এমআর