জেলেদের বিক্ষোভ ইন্দরকানীতে মৎসজীবীদের চাল বিতরণে অনিয়ম!

প্রথম পাতা » পিরোজপুর » জেলেদের বিক্ষোভ ইন্দরকানীতে মৎসজীবীদের চাল বিতরণে অনিয়ম!
বুধবার ● ৬ মে ২০২০


জেলেদের বিক্ষোভ

ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে মৎসজীবী তালিকা ও চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিন চাল পাওয়া নিবন্ধিত জেলে ও নতুন কার্ডধারী চাল বঞ্চিতরা বিক্ষোভ করেছেন। খরব পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং ইন্দুরকানী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বুধবার সরেজমিনে গেলে উপজেলার খাদ্য গুদামের সংরক্ষিত এলাকায় সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে বিশৃংখলার মধ্যে বালিপাড়া ইউনিয়নের মৎসজীবীদের চাল বিতরনের সময় এমন অনিয়মের অভিযোগ করে কার্ডধারী জেলেরা।
অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় মোট নিবন্ধিত মৎসজীবীর সংখ্যা ১৮০২জন। এদের মধ্যে বিগত দিনে নিয়মিত চাল পেত ৯৪৮জন। নিয়মিতদের কিছুদিন আগে ২ মাসের চাল বিতরণ করা হয়। তখনও বরাদ্দ না থাকায় কার্ডধারী প্রায় ৯শ জেলে চাল পয়নি। বর্তমানে করোনা মহামারির দুর্যোগের কারনে উপজেলায় মোট ১১৫০ জন জেলের জন্য ২মাসের চাল বরাদ্দ হয়েছে। বর্তমানে মোট নিবন্ধিত জেলের স্যংখা ২০৯৮জন। বারতি সংখ্যায় বরাদ্দ হওয়ার পরেও অনেক কার্ডধারী যারা আগে চাল পাননি এবং নিয়মিত যারা চাল পেত তারাও অনেকে চাল পাচ্ছে না। সরেজমিনে দেখা যায়, প্রকৃত কার্ডধারী জেলে আনেচ পিতা কাদের, ইব্রাহিম মৃধা পিতা আলী আকবর মৃধা, বাবুল মৃধা, সেকান্দার মৃধা, মনির মিয়া পিতা শাহজাহান ডাক্তার, শাহিন শিকদার পিতা জব্বার শিকদার, বাবুল শেখ পিতা মোক্তার আলী শেখ সহ উপস্থিত শতাধিক জেলেরা চাল না পেয়ে খাদ্যগুদামের মধ্যে বিক্ষোভ করে। যারা নিয়মিত জেলে নন এবং নিবন্ধন নাই তারাই চাল পাচ্ছেন বলে জেলেদের অভিযোগ। এদের মধ্যে বাহাদুর পিতা ইউসুফ আলী, সাইদআলী মিস্ত্রী, সেলিম মাতুব্বর পিতা শামছু মাতুব্বর, জসিম হাওলাদার পিতা ইদ্রিস হাং এদের মত অধিকাশরাই চাল পাচ্ছে। যারা কোন জেলে না তারা চাল পাওয়ার স্লিপ হাতে থাকায় কার্ডধারী জেলেরা খাদ্যগুদামের সংরক্ষিত এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে। কার্ডধারী লাল মিয়া শিকদার, মালেক মাতুব্বর সহ উপস্থিত অনেক জেলেরা বলেন, আমরা গত তারিখে চাল পেয়েছি, আমাদের আরো ২মাসের চাল পাওনা আছে। বর্তমানে যে চাল দিচ্ছে তা আমাদের নামে বরাদ্দ। অথচ মেম্বর-চেয়ারম্যান ও মৎস্য অফিসের যোগসাজসে অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন পেশার লোকজনদের আজ চাল দেওয়া চচ্ছে। আমাদের জেলে কার্ড থাকায় অন্যকোন সরকারি ও বেসরকারি সুবিধা পাচ্ছি না। উপজেলা মৎসজীবী সমিতির সভাপতি হামেদ জোমাদ্দার জানান, প্রকৃত জেলেদের ২মাসের চাল পাওনা আছে, তাদের নামের বরাদ্দকৃত চাল না দিয়ে সম্পূর্ণ নতুন তালিকায় দিনমজুর ভ্যান চালক কৃষকসহ বিভিন্ন পেশার লোকদের জেলে নামে তালিকাভূক্ত করে চাল দিচ্ছে। অথচ মৎসজীবী তালিকা অনুমোদনে আমার স্বাক্ষর থাকার কথা কিন্তু আমার স্বাক্ষর ছাড়াই তাদের তালিকা অনুমোদন করে চাল দিচ্ছে। আমি এর তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এ বিষয়ে উপজেলা মৎস কর্মকর্তা জানান, জেলেদের সমন্বয় সভার সিদ্ধান্ত এবং উপজেলা কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে কার্ডধারী যারা কিছুদিন আগে চাল পেয়েছে করোনা দুর্যোগের কারনে তাদের নামে বরাদ্দকৃত চাল বাদপড়া জেলেদের দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তারা তাদের পাওনা ২মাসের চাল আর পাবে না, তবে পরবর্তীতে আবার যখন বরাদ্দ হবে তখন পাবেন।

এমএসকে/এনবি

বাংলাদেশ সময়: ১৪:১৭:৪২ ● ৩১৮ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ