আমতলীতে মায়ের পর ছেলের করোনা শনাক্ত

প্রথম পাতা » বরগুনা » আমতলীতে মায়ের পর ছেলের করোনা শনাক্ত
মঙ্গলবার ● ৫ মে ২০২০


প্রতীকী ছবি

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
আমতলী পৌরসভার মাজার রোডে মায়ের আক্রান্ত হওয়ার চারদিন পর ছেলে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। একই পরিবারে মা ও ছেলে আক্রান্ত হওয়ায় খবরে এলাকার মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। মায়ের আক্রান্ত হওয়ার পর গত শুক্রবার থেকেই ওই বাড়ী ইউএনও মনিরা পারভীন বাড়ী লকডাউন করে দিয়েছেন। এনিয়ে আমতলীতে নয়জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
জানা গেছে, আমতলী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের মাজার রোডের ওই গৃহবধুর দুই ছেলে ঢাকায় লেখাপড়া করে। গত মার্চ মাসের শেষের দিকে ওই ছেলেরা ঢাকা থেকে বাড়ীতে আসেন। গত ২০ এপ্রিল ওই গৃহবধুর করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয়। তার শরীরের অবস্থা খারাপ দেখে পরিবারের সদস্যরা গত বুধবার আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বর্হিবিভাগে চিকিৎসা নেন। ওইদিনই  হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকা রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পাঠিয়ে দেয়। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তার নমুনা প্রতিবেদন আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসে। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে তিনি প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদিকে মা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর গত শনিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই পরিবারের পাঁচ সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠায়। সোমবার রাত সাড়ে ১০ টায় ওই পরিবারের পাঁচ সদস্যের মধ্যে বড় ছেলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের প্রতিবেদন আমতলী হাসপাতালে আসে। মা আক্রান্ত হওয়ার চার দিন পর ছেলে আক্রান্তের খবরে এলাকার  মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। মা আক্রান্ত হওয়ার পর গত শুক্রবার থেকেই ওই বাড়ী লকডাউন করে দিয়েছেন ইউএনও মনিরা পারভীন। মা ও ছেলে বাসার আইসোলেশনে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিরকল্পনা কর্মকর্তা শংকর প্রসাদ অধিকারী। এ নিয়ে আমতলী উপজেলার করোনা ভাইরাসে নয়জন আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে গত ৯ এপ্রিল আওয়ামীলীগ নেতা জিএম দেলওয়ার হোসেন মৃত্যুবরণ করেন। ওই সময় থেকেই বরগুনা জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তাইন বিল্লাহ আমতলী উপজেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেন। ওই সময় থেকেই আমতলী উপজেলা লকডাউন অবস্থায় আছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শংকর প্রসাদ অধিকারী বলেন, ওই গৃহবধু আক্রান্ত হওয়ার পর তার পরিবারের পাঁচ সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এখন ওই গৃহবধুর ছেলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। মা ও ছেলেকে বাসার আসইসোলেশনে রেখেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন বলেন,ওই বাড়ী আগে থেকেই লকডাউন করা আছে। মা ও ছেলে বাসায় আইসোলেশনে রেখেই চিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

এইচএকে/এনবি

বাংলাদেশ সময়: ১১:২২:২৩ ● ১০১৪ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ