কলাপাড়া সাগরকন্যা অফিস॥
সাম্প্রতিক করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় সারাদেশ লকডাউনে থাকায় পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব মধূখালী ও পশ্চিম মধূখালী সংযোগ ব্রিজটির দীর্ঘদিন ধরে কাজ বন্ধ থাকার কারণে ব্রিজের কাজের জন্য খাল বন্ধ থাকায় সেখানকার ৩ টি ইউনিয়নের ১৭টি গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। ওইসব এলাকায় বেশিরভাগ মাটির রাস্তা থাকার কারনে উপজেলা শহরে যাতায়াতের জন্য বর্ষা মৌসুমে খালই তাদের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। দীর্ঘদিন ধরে খালটি পুরোপুরি বন্ধ থাকায় গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পূর্ব মধুখালী ও পশ্চিম মধুখালী সংযোগ ব্রিজটি কয়েকমাস আগে হঠাৎ ভেঙ্গে যায়। লকডাউনের ১০-১২ দিন আগ হতে ব্রিজটি পূন:নির্মাণের জন্য পাইলিংয়ের কাজ শুরু করা হয়। এতে খালটি আটকে দেয়া হয়। নভেল করোনা ভাইরাসের কারনে হঠাৎ করে দেশের পরিস্থিতি খারাপ হলে সকল কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। ওই দিন থেকে খালটি বন্ধ রাখার কারনে ১৭ টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। জানা যায়, বালিয়াতলী ইউনিয়নের পইক্কাপাড়া, বদ্ধপাড়া, সোনাপাড়া, নয়াপাড়া, মাঝের পাড়া ও তুলাতলি গ্রাম, মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের সাপাখালি, মেলাপাড়া, ইসলামপুর ও দক্ষিণ চরপাড়া গ্রাম, ডাবলুগঞ্জ ইউনিয়নের খেচাউপাড়া, মেহেরপুর, কাঠালপাড়া, বউলতলী পাড়া, বেতকাটা পাড়া ও মুসলিম পাড়া, ধুলাসার ইউনিয়নের তারিকাটা গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ বর্ষা মৌসুমে এ খাল দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। এসব গ্রামের মানুষগুলোর উপজেলা শহর ও থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগাযোগের চরম দুর্ভোগে পরতে হচ্ছে।
পইক্কাপাড়া গ্রামের কবির হাওলাদার, ইসলামপুর গ্রামের নাসির তালুকদার, মেলাপাড়া গ্রামের শহিদ হাওলাদার, সাপাখালি গ্রামের মিলন রাড়ি ও ডাবলুগঞ্জ গ্রামের খোকন খাঁনসহ একাধিক ভূক্তভোগীদের দাবি, লকডাউন কবে শেষ হবে তা কেহই বলতে পারছে না। তাহলে আপাদত খালটি পুরোপুরি বা আংশিক খুলে দিলে আমাদের চলাচলে সুবিধা হতো। প্রয়োজনে লকডাউন শেষে কাজ শুরু হলে আবার কর্তৃপক্ষ খালটি আটকে নিতে পারতো।
এবিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পল্লি ষ্টোর’র স্বত্তাধিকারী গোলাম সরোয়ার বাদল বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারনে কাজ বন্ধ রয়েছে, লকডাউন শেষ হলে দ্রুত কাজ চালু করা হবে। অন্যথায় লকডাউনের মধ্যে কাজ চালানোর অনুমতি দিলেও আমি কাজ চালু করতে পারবো। তবে এলাকাবাসীর সমস্যার বিষয়টি তার মাথায় রয়েছে বলেও তিনি জানান।
কলাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. মোহর আলী বলেন, বিষয়টি আমার নজরে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা বলে সমাধান দেয়ার চেষ্টা করবো।