ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥
বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এখনো নির্বাচনকে বিতর্কিত করার ব্যর্থ প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আন্দোলন করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার সামর্থ্য বিএনপির নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির আন্দোলনের হুমকির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে কাদের বলেন, মুক্তির বিষয়টি আইনের বিষয়। লিগ্যাল ব্যাটেল করে তারা যদি তাদের নেত্রীকে মুক্ত করে, তাহলে তাদেরকে স্বাগতম। এটা আইনগতভাবে সমাধান হবে। আন্দোলন করে বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়াকে মুক্ত করবে, এটা এখন আর দেশের জনগণ বিশ্বাস করে না। কারণ তাদের আন্দোলন আষাঢ়ের তর্জন গর্জনেই সার। এর কোনো আবেদন নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আসলে নেতিবাচক রাজনিতীতে গভীর খাদের কিনারে চলে এসেছে। সংসদে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানানো বিএনপি বা ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আলোচনায় বসার কোনো সম্ভাবনা আছে কি না, আওয়ামী লীগ নেতা কাদেরের কাছে তা জানতে চেয়েছিলেন সাংবাদিকরা। জবাবে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার দরজা কারও জন্য কখনো বন্ধ ছিল না, শেখ হাসিনার দরজা সবার জন্য সব সময় খোলা থাকবে। কেউ কোনো বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তার কাছে যদি নিয়মমাফিকভাবে আলোচনা করতে চান, আলাপ করতে চান, আমাদের নেত্রীর দুয়ার খোলা আছে, আমি এটা বলেছি। গণভবনে চা চক্রের নামে ‘তামাশা’ হয়েছে- বিএনপির এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কাদের বলেন, বিএনপি আসলে নেতিবাচক রাজনীতির গভীর খাদের কিনারায় চলে এসেছে। এ অবস্থায় তারা বেসামাল হয়ে, বেপরোয়া হয়ে যখন যা খুশি তাই বলছে। এখানে কোন যুক্তি নেই, এখানে কোন বাস্তবতা নেই। কারণ এই নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে এই মুহূর্তে কোন প্রশ্ন নেই। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভরাডুবির পর বিএনপি ও তাদের জোট শরিকরা ‘ভোট ডাকাতির’ অভিযোগ এনেছে সরকারের বিরুদ্ধে। তারা অবিলম্বে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানালেও নির্বাচন কমিশন তা নাকচ করে দিয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দুনিয়ার সব সভ্য গণতান্ত্রিক দেশ এই নির্বাচনে বিপুল জয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সরকারের সঙ্গে একসাথে কাজ করার কথা স্বয়ং জাতিসংঘ থেকেও উচ্চারিত হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে কোথাও কোন প্রশ্ন নেই, কোথাও কোন বিতর্ক নেই এবং দেশ ও জনগণের মাঝে কোনো প্রকার বিরূপ সমালোচনা নেই। একমাত্র বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্টের নেতারাই নির্বাচনকে বিতর্কিত করার ব্যর্থ প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা কে কী বলল তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না। কারণ এটা ব্যর্থ বিএনপির অসংলগ্ন প্রলাপ ছাড়া আর কিছুই নয়। এবার ডাকসু নির্বাচনেও ‘জাতীয় নির্বাচনের মত ভোট ডাকাতির’ আশঙ্কার কথা বলেছে বিএনপি। সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের আগেই তারা হেরে যাচ্ছে, এটা তো তাদের পুরনো অভ্যাস। এটা তাদের স্বভাবসুলভ বক্তব্য। যে কোনো নির্বাচনে তারা অভিযোগ আনে- কারচুপির হচ্ছে, ডাকাতি হচ্ছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও তারা একই অভিযোগ এনেছিল, পরে দেখা গেল তাদের প্রার্থী জিতল।
এফএন/এমআর