কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥
প্রাণঘাতী করোনায় পর্যটন নগরী সাগরকন্যা কুয়াকাটায় পর্যটন শিল্পের কয়েক হাজার শ্রমিক পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছে। কর্মহীন হয়ে আছে হোটেল মোটেলে, রেস্তরা, ট্যুরিস্ট বোট, ওয়াটার বাস, র্পাক, মার্কেটের দোকানির স্টাফ, বিচ বাইক, মটরসাইকেল, ক্যামেরাম্যানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় পাচ হাজার শ্রমিক এখন কর্মহীন। হতাশ হয়ে পড়ছে এসবের পরিবার গুলো। বুক ভরা আর্তনাদ চলছে- যার কান্না কেউ দেখছেনা। খাবার ও নিত্য প্রয়োজনীয় তার জন্য দিন দিন কর্মহীনের কারণে মহামারি বিপদ কাটানো দিকে চেয়ে আছেন। আর আল্লাহ আল্লাহ করে দিন পার করছে। অভাবে কস্ট থাকলেও লজ্জায় মুখ খুলতে পারছে না এরা। কারো কাছে হাত পাততেও পারে না এরা। ত্রানের খাতাও নাম উঠছে না এদের। সরকারী ভাবে কোন সহযোগীতা এখ পর্যন্ত না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজম্যান্ট এ্যাসোসিয়েশন (কুটুম)‘র নেতৃবৃন্দ।
খোজ নিয়ে জানা যায় বিগত ১৭ মার্চ শুরুতেই ১০ দিন আগে হোটেল মোটেল এবং ওয়াটার বাসসহ ট্যুরিস্ট বোট গুলো বন্ধ করে দেয় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক। এর পড়ে ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যায় বার্মিজ মার্কেট, সীবিচের ঝিনুক মার্কেট, রাখাইন মহিলা মার্কেট, শুটকির দোকান, খাবার রেস্তোরা, মিউজিয়াম, ইলিশপার্কসহ ছোট বড় মাঝারি সকল ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বিশেষ করে হোটেল মোটেলে, রেস্তরা, ট্যুরিস্ট বোট, ওয়াটার বাস, র্পাক, র্মাকেটের দোকানি, বিচ বাইক, মটরসাইকেল, ক্যামেরাম্যানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রায় পাচ হাজার শ্রমিক এখন কর্মহীন হয়ে দিনাতিপাত করছেন। এ কর্মযজ্ঞে প্রাণঘাতী করোনার থাবায় মার্চেও ১৭ বন্ধের পরে কর্মচারীদের মালিক পক্ষ সবাইকে ছুটি দিয়ে দেয়। অনেকের বেতন দিয়ে আবার অনেকে ১-২ মাসের বকেয়া দিয়ে বিদায় দেন। মদিনা রেস্তরার শ্রমিক সাইফুল (২২) বলেন হোটেল বন্ধের সাথে সাথে আমাদের হোটেলে থাকা ১২ জন বয় বিদায় দিয়ে দিছে কিছু টাকা দিয়ে কিন্ত বকেয়া বাকি আছে চাইতে গেলে মালিক বলছে আমরাই তো চলতে পারি নে আবার তোমাদের কি ভাবে দিব। বীচের পারে হোটেল সী প্যালেস ম্যানেজার রুবেল (২৫) বলেন আসলে কি বলবো আমাদের কথা হোটেলে মুলত কর্মচারীদের তেমন কোন বেতন নেই গেস্ট থাকলে তাদের সেবা দিয়ে যে বকশিস পাই আমরা সবাই মিলে মাস শেষে ভাগ বাটোয়া করে নেই। এখন তোর নিরুপায়।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতির সম্পাদক জাকারিয়া জাহিদ জানান, গত মাসের বেতন দিয়ে আমাদের ৫৪ জন জনকে স্টাফ ও মাঝিদের বেতন দিয়ে বিদায় দেই প্রায় দুই মাসের কাছে লেবার শ্রমিকের হাতে কোন খাদ্য সামগ্রী দিতে পারি নাই সরকারী ভাবের চেষ্টা করছি ফল পাইনি। কুয়াকাটা রেস্তরা মালিক সমিতির সম্পাদক কলিম মাহমুদ বলেন আমারা দিন পনের আগে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গিয়ে ছিলাম আমাদের শ্রমিকের দুঃখ কস্টের কথা বলে ছিলাম পরে সে আমাদের কুয়াকাটা পৌর মেয়রে কাছে পাঠিয়ে দেয়। পর্যটন নিয়ে কাজ করা কুয়াকাটা ট্যুরিজম ¤্রানেজম্যান্ট এ্যাসোসিয়েশন কুটুমের সভাপতি সাংবাদিক নাসির উদ্দিন বিপ্লব জানান ত্রাণ মন্ত্রনালয়ে বা শ্রম মন্ত্রনলায়ে এই পর্যটন খ্যাতে এই মহামারিতে কোন রকম শ্রমিকদের এাণ সহযোগীতা না থাকায় এটা দুঃখ জনক। আমাদের বিভিন্ন সময় দাবিতে আমারা তুলে ধরছি আশা করি এই দুই মন্ত্রনলয়ে খ্বু দ্রুত বিবেচনায় আনবে।
বাংলাদেশ সম্মিলিত পর্যটন জোটের মহাসচিব মোখলেছুর রহমান জানান—আমাদেও ৬ আন্দোলনের এটি হলো ৩ দফা বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের চেয়ারম্যানের সাথে কথা হয়েছে আমার দাবি করছি অফিস খুললে খুব দ্রুত তারা এটা দেখবে বলে আশা করি॥
এইচএ/এমআর