নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদার চার্জ শুনানি ১২ ফেব্রুয়ারি

প্রথম পাতা » রাজনীতি » নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদার চার্জ শুনানি ১২ ফেব্রুয়ারি
সোমবার ● ৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯


নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদার চার্জ শুনানি ১২ ফেব্রুয়ারি

ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা নাইকো দুর্নীতি মামলায় চার্জ (অভিযোগ গঠন) শুনানির জন্য ১২ ফেব্রুয়ারি ফের দিন ধায্য করেছেন বিশেষ জজ আদালত।
সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মাহমুদুল কবীর আংশিক শুনানি শেষে নতুন এ দিন ধায্য করেন। বিগত ২১ জানুয়ারি মামলার আসামি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের পক্ষে চার্জ শুনানি শেষ না হওয়ায় সোমবার শুনানির জন্য ধায্য ছিল। কিন্তু এদিনও শুনানি শেষ করা সম্ভব না হওয়ায় ১২ জানুয়ারি পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়। এর আগে কারা কর্তৃপক্ষ দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালতে হাজির করেন। আদালত কক্ষে তিনি চুপচাপ বসেছিলেন।
বিগত ৩ জানুয়ারি নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানিতে এসে বিচারককে আদালতের বিষয়ে অসন্তোষ জানিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। নাইকো দুর্নীতি মামলার অপর আসামিরা হলেন- সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ¦ালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, জ¦ালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন এবং জ¦ালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন। এ মামলায় পলাতক রয়েছেন আরো তিন আসামি। তারা হলেন- সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহা-ব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ। মামলার ১১ আসামির মধ্যে সাবেক সচিব শফিউর রহমান ২০১৮ বছরের ৫ মে মারা যাওয়ায় বর্তমানে আসামি সংখ্যা ১০ জন।
দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান ২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে, কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়। আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে আদালতে পরবর্তীতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেন। নাইকো ছাড়াও গ্যাটকো ও বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তা বাতিলের আবেদন জানিয়ে পৃথক রিট করেছিলেন খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবী। এসব রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিত ও রুল জারি করেন হাইকোর্ট। কয়েক বছর ধরে স্থগিত থাকার পর মামলাগুলো সচলের উদ্যোগ নিয়ে রুল নিষ্পত্তির আবেদন জানায় দুদক।
২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ মামলার ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আবেদন জানান।
কুমিল্লায় হত্যা মামলায় জামিন আবেদন নামঞ্জুর: কুমিল্লায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বাসে পেট্টোলবোমা নিক্ষেপে আটজনকে হত্যা মামলায় জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়া আগামি ২৫ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের দিন ঠিক করে দিয়েছে আদালত। খালেদা জিয়ার আইনজীবী কাইমুল হক রিংকু বলেন, কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আলী আকবর সোমবার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি জামায়াত-বিএনপির ডাকা অবরোধ চলাকালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আইকন পরিবহনের একটি বাসে পেট্রোল বোমা ছোঁড়া হয়। এতে আগুনে পুড়ে মারা যান আট যাত্রী। আহত হন আরও ২৭ জন। এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই নুরুজ্জামান হাওলাদার বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন। দুটি মামলায় দুই বছর এক মাস তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দেন চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই মো. ইব্রাহিম।
মামলায় খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসমি করা হয়েছে। উভয় মামলায় তাকে আটক দেখানো হয়েছে। জিয়া এতিমখানা ও জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বিগত বছর ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে রয়েছেন। ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে তাকে। দ-িত খালেদা জিয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে তার দল বিএনপির ভরাডুবি হয়েছে। বিএনপি দুর্নীতির অভিযোগ তুলে নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করেছে।

এফএন/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৫:১৪:৩৮ ● ৮৩৬ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ