অতুল পাল, বাউফল সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পটুয়াখালীর বাউফলে রেদোয়ান (১৯) নামের এক কলেজ পড়ুয়া ছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা করেছে একই বাড়ির প্রতিপক্ষরা। শনিবার (২৫ এপ্রিল) গভীর রাতে কালিশুরী ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে এঘটনা ঘটেছে। পুলিশ পোস্টমর্টেমের জন্য লাশ উদ্ধার করে পটুয়াখালী মর্গে পাঠিয়েছেন। রেদোয়ান কালিশুরী ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল। তার বাবার নাম নূরুল ইসলাম সিকদার।
এলাকাবাসী জানায়, ১৫ দিন পূর্বে রেদোয়ানের (১৮) সৎ বড় ভাইয়ের স্ত্রী রেশমা বেগম উঠানে রাখা শুকনো কচুরিপানার উপর কম্বল রোদে দেয়। এতে কম্বলের নিংরানো পানি কচুরিপানার উপর পড়লে কচুরিপানার সংগ্রহক একই বাড়ির আলম খানের স্ত্রী সাহিদা বেগমের সাথে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে ওই ঝগড়া উভয় পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মাঝেও ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের সহায়তায়  ওই দিনের ঝগড়ােথেমে গেলেও এর রেশ থেকে যায়। এরই জের ধরে সাহিদা বেগমের ছেলে কালিশুরী এস.এ. ইনিষ্টিটিউটের দশম শ্রেণির ছাত্র ইমরান(১৭) শনিবার রাত দুইটার দিকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ছাপড়া দেয়া রেদোয়ানদের দরজা খোলা ঘরে ঢুকে একই বিছানায় ঘুমানো রেদোয়ানসহ রেদোয়ানের ছোট দুই ভাই আবদুল্ললাহ(১৬) ও ফয়সাল(১২) কে  এলোপাতারি কোপাতে থাকে। এসময়  ঘাতক ইমরান ঘুমন্ত রেদোয়ানসহ অন্য দুই ভাইয়ের হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয়। আহতদের ডাক চিৎকারে বাড়ি ও আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ইমরান পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা রক্তাক্ত তিন ভাইকে দ্রুত বাউফল হাসপাতালে নিয়ে এলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক রেদোয়ানকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্য দুইভাইকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। রবিবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ইমরানের মা সাহিদা বেগমকে আটক এবং ঘটনাস্থল থেকে একটি শাবল উদ্ধার করে। বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান সাগরকন্যাকে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। লাশ পোস্টমর্টেমের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি এবং ইমরানকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।

এপি/এনইউবি