বাউফলে দুস্থ ও জেলেদের চাল না দিয়ে সরকারি খাদ্য গুদামে মজুদ!
প্রথম পাতা »
পটুয়াখালী »
বাউফলে দুস্থ ও জেলেদের চাল না দিয়ে সরকারি খাদ্য গুদামে মজুদ!
বৃহস্পতিবার ● ২৩ এপ্রিল ২০২০
পটুয়াখালী সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের জেলে ও দুস্থদের ভিজিডি ও ভিজিএফ’র একশ ৪১ মেট্রিকটন চাল নির্ধারিত সময়ে বিতরণ না করে সরকারি খাদ্য গুদামে মজুদ করে রাখা হয়েছে। এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। বুধবার দুপুরে জেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মাহবুবুল ইসলাম কালাইয়া খাদ্য গুদাম পরিদর্শনে আসেন। তখন বিষয়টি তাঁর নজরে আসে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে চালগুলো বিতরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কালাইয়া খাদ্য গুদাম সূত্রে জানা গেছে, মজুদ করা চালের পরিমান প্রায় একশ ৪১ মেট্রিকটন। এর মধ্যে একশ ৩৫ মেট্রিকটন চাল জেলেদের ও প্রায় ছয় মেট্রিকটন দুস্থদের ভিজিডির চাল। এর মধ্যে ১০৫ মেট্রিকটন কেশবপুর ইউনিয়নের, ৩০ মেট্রিকটন চাল নাজিরপুর ইউনিয়নের ও পাঁচ দশমিক ৮২ মেট্রিকটন চাল সূর্যমনি ইউনিয়নের। সূর্যমনি ইউনিয়নের চাল দুস্থদের জন্য বরাদ্দ ভিজিডির চাল। আর বাকি চাল জেলেদের জন্য বরাদ্দ ভিজিএফ চাল। একজন জেলে মাসে পান ৪০ কেজি করে চাল। আর দুস্থরা পান ৩০ কেজি করে চাল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনৈক জেলে সাগরকন্যাকে বলেন, ‘গত সপ্তায় মোগো চাউল দেওয়া অইছে। তহনও কেউ কয়নাই মোগো আরও চাউল দেওয়া অইবে। আর এই মহামারির মধ্যে আমাগো কোন আয় - রোজগার নাই। এই সময়ের চাউল না দিয়া খাদ্য গুদামে রাহা আমাগো জন্যে অমানিবিক।’ কালাইয়া খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ দত্ত বলেন, চালগুলো ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের। তিনি আরও বলেন, নিয়মানুযায়ী চালগুলো নির্ধারিত সময়ে বিতরণ করার কথা। কিন্তু চেয়ারম্যানরা খাদ্য গুদাম থেকে ছাড়িয়ে না নিলে কি করার আছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ( পিআইও ) রাজিব বিশ্বাস বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসের ডিও দেওয়া হয়েছে ওই মাসের শেষ সপ্তাহে ও মার্চ মাসের ডিও দেওয়া হয়েছে মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে। মোট কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিতরণের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের ডিও দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ৯:১০:৫৭ ●
৪২৮ বার পঠিত
(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)