১০দিন পর ইউএনও’র হস্তক্ষেপ নদীরপাড়ের ঝুপড়ি থেকে ফিরল শিশুসন্তানকে নিয়ে শিরিন

প্রথম পাতা » বরগুনা » ১০দিন পর ইউএনও’র হস্তক্ষেপ নদীরপাড়ের ঝুপড়ি থেকে ফিরল শিশুসন্তানকে নিয়ে শিরিন
সোমবার ● ২০ এপ্রিল ২০২০


---

কলাপাড়া সাগরকন্যা অফিস॥
করোনা সংক্রমণ সন্দেহে চার মাসের শিশুকন্যা আফসানাসহ তার মা গর্মেন্টস কর্মী শিরিন আক্তারকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার ১০দিন পরে তালতলীর ইউএনওর হস্তক্ষেপে রবিবার দিবাগত ভোররাতে বাড়িতে ফিরল। হতভাগী মা শিশুকন্যাসহ কলাপাড়ার কাঠালপাড়া গ্রামে নদীর পাড়ের একটি ঝুপড়িঘরে অবস্থান করতে বাধ্য হয়েছিল। কলাপাড়া সীমানাঘেঁষা তালতলী উজেলার শারিকখালী ইউনিয়নের চাউলাপাড়া থেকে এ শিশুসহ মাকে ইউপি মেম্বার নিজাম আকনের নির্দেশে স্থানীয় চৌকিদারের হস্তক্ষেপে শিশুটিসহ ১০ এপ্রিল বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়। এরপর থেকে খেয়ে না খেয়ে তালপাতার ছাউনির ঝুপড়িতে চরম ঝুকিতে অবস্থান করছিল। এমনকি মেম্বারের ভয়ে শিরিনের স্বামী মামুন ভয়ে নিজের ঘরবাড়ি ছেড়ে জেলেদের একটি ট্রলারে অবস্থান করে।
জানা গেছে, ১০ এপ্রিল স্বামী মামুনকে নিয়ে নারায়নগঞ্জের ফতুল্লা থেকে চাউলাপাড়া গ্রামের শ^শুরবাড়ি ফেরেন। বাড়িতে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়িছাড়া হওয়ার নির্দেশনা দেন ইউপি মেম্বার। শাশুড়ির রান্না করা খাবার পর্যন্ত খেতে দেয়া হয়নি। এরপর থেকে নদীরপাড়ে চরম ঝুকিতে অবস্থান করে এই গার্মেন্টকর্মী। আর স্বামী মেম্বারের ভয়ে একটি ট্রলারের জেলেদের সঙ্গে রাতযাপন করত। শিরিনের অভিযোগ করোনার উপসর্গ না থাকলেও তাদেরকে এভাবে বাড়িছাড়া করা হয়েছে। তাদেরকে ঘরবন্দি (হোম কোয়ারেন্টাইন) রাখতে পারত বলেও শিরিনের অভিযোগ।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সেলিম মিয়া জানান, করোনা সন্দেহে একটি শিশুসহ তার মাকে নিয়ে গ্রাম থেকে বের করে দেয়ার খবর জানতে পেরে রাতেই বাড়িতে ফেরার ব্যবস্থা করেছেন। পাশাপাশি নারায়নগঞ্জ থেকে ফেরায় হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, কাউকে করোনা আক্রান্ত সন্দেহ হলে ওই মেম্বার তাকে জানানোর কথা। তারজন্য সরকারীভাবে চিকিৎসা দেয়া বা কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা হতো। মেম্বার যা করেছে তা ঠিক হয়নি। অভিযুক্ত মেম্বারকে কয়েকদফা মোবাইল করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এমইউএম/এনইউবি

বাংলাদেশ সময়: ১৭:৩০:৫৩ ● ৫০৮ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ