রিজার্ভ চুরির মামলা নিষ্পত্তিতে ৩ বছর সময় লাগবে: আইনজীবী

প্রথম পাতা » সর্বশেষ » রিজার্ভ চুরির মামলা নিষ্পত্তিতে ৩ বছর সময় লাগবে: আইনজীবী
রবিবার ● ৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯


সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসানসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা
ঢাকা সাগরকন্যা অফিস ॥
সুদ ও তিপূরণসহ রিজার্ভ চুরির মামলার তিপূরণে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে দায়ের করা মামলা নিষ্পত্তিতে তিন বছর সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি। রবিবার বিকেলে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসানসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় জানানো হয়, সাত প্রতিষ্ঠান, ১৫ বিশিষ্ট ব্যক্তির পাশাপাশি আরো ২৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে রিজার্ভ চুরির মামলা হয়েছে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সময় বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির অর্থ ফিরিয়ে আনতে ও দোষীদের বিচারে অবশেষে ফিলিপাইনের ম্যানিলার রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে থাকা বাংলাদেশের রিজার্ভ থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। ব্যাংকিং লেনদেনের আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক সুইফটে ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে ফিলিপাইনের আরসিবিসিতে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ও শ্রীলঙ্কার দু’টি ব্যাংকে ২ কোটি ডলার স্থানান্তর করা হয়েছিলো। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কার ব্যাংকে স্থানান্তর হওয়া ২ কোটি ডলার ফেরত আনা হয়েছে। ফিলিপাইনের আরসিবিসি থেকে ফেরত আনা হয়েছে ১ কোটি ৪৬ লাখ ডলার। এখনো ফেরত আসেনি ৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, এই অর্থ ফেরত পাওয়ার জন্যই যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা করা হয়েছে। আইনি লড়াই মোকাবেলা করার জন্য দেশটিতে দুটি ল’ ফার্মকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। টাকা উদ্ধারে ল’ ফার্ম দু’টির সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে যে চুরি যাওয়া ৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার উদ্ধার করে দিতে পারলে ল’ ফার্ম দু’টিকে মোট অর্থের ১০ ভাগ দেওয়া হবে। জানা যায়, হ্যাকাররা চুরির অর্থ ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংকের জুপিটার স্ট্রিট শাখার চারটি অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করেছে। সেখান থেকে ওই অর্থ ফিলিপাইনের মুদ্রা পেসোতে রূপান্তরের পর দু’টি ক্যাসিনোতে পাঠানো হয়। রিজার্ভ চুরির এ ঘটনায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৮ সালের ১০ জানুয়ারি আরসিবিসির সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস দেগুইতোকে সাজা দিয়েছে ফিলিপাইনের আদালত। এ ছাড়া তাকে সর্বমোট ১০ কোটি ৯০ লাখ ডলার জরিমানা করেছে দেশটির আদালত।

এফএন/কেএস

বাংলাদেশ সময়: ১৬:২২:০৪ ● ৩৪৭ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ