বাউফল (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বাউফলে জব্দকৃত সরকারি ৪২ মেঃ টন চাল নিয়ে বিপাকে পড়েছে বাউফল থানা পুলিশ। চালের সাথে আটক বাউফলের বগা ইউনিয়নের বানাজোরা গ্রামের শাহজাহান হাওলাদার (৩০) ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার ট্রলার চালক জয়নাল চৌকিদার(৫৫)কে জিজ্ঞাসাবাদে জব্দকৃত চাল বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলার সেলিম ও দুলাল নামের দু’চাল ব্যবসায়ির গুদাম থেকে ক্রয় করে আনা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। চাল আটকের পর হিজলা ও বাউফলের খাদ্য কর্মকর্তা এবং প্রকল্প বাস্তবায়ণ কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করলে চাল তাদের নয় বলে জানায়। ফলে জব্দকৃত চাল নিয়ে পুলিশ মূলতঃ ঘুরপাকের মধ্যে পড়েছে। তবে তদন্তে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে বলে মনে করছেন তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বাউফলে চাল জব্দের খবরে নড়ে-চরে বসে হিজলা এবং বাউফল উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা ও প্রকল্প বাস্তবায়ক কর্মকর্তা। বাউফল থানা পুলিশ জানায়, সরকারি ওই চালের বিষয়ে জানতে চাইলে উভয় উপজেলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা চাল তাদের নয় বলে জানিয়েছেন। এমতাবস্থায় জনমনে প্রশ্ন উঠেছে- তাহলে জব্দকৃত চালের উৎস কোথায়? তবে একাধিক সুত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ি হিজলা উপজেলার কয়েকজন চেয়ারম্যান ও মেম্বর কাজের নামে ওই চাল উত্তোলণ করে কালোবাজারে বিক্রি করেছে। (এ খবরের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি)। সূত্র আরো জানায়, চাল জব্দের পর হিজলার ওই চক্রটিকে বাঁচাতে ওখানকার সরকার দলীয় প্রভাবশালী নেতারা বিভিন্ন মহলে দেন-দরবার চালাচ্ছেন। উল্লেখ্য গত ১৩ এপ্রিল রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাউফল সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক হোসেন বাউফলের বগা বাজারের পূরাণো সোনালী ব্যাংকের পিছনের খালে নোঙ্গর করা একটি ট্রলার থেকে স্থানীয় চাল ব্যবসায়ি শাহজাহানের গুদামে চাল গুদামজাত করার সময় ওই গুদামে রক্ষিত এবং ট্রলারে থাকা চালসহ ট্রলার জব্দ করেন। পরদিন পুলিশ জানায়, জব্দকৃত চালের পরিমাণ ৪২ মেঃ টন (৩০ কেজি ওজনের ১৪০০ বস্তা)। চালের বস্তার গায়ে খাদ্য অধিদপ্তর লেখা রয়েছে। এ ঘটনায় বাউফল থানায় বিশেষ আইনে চাল ক্রেতা শাহজাহান হাওলাদার, ট্রলার চালক জয়নাল চৌকিদার এবং হিজলার চাউল বিক্রেতা সেলিম ও দুলালের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের হয়। এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এদের বিরুদ্ধে বিশেষ আইনের ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটক দু’জনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এপি/এমআর