ঢাকা সাগরকন্যা অফিস ॥
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ১৫ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। তাবলিগ জামাতের মধ্যে যে বিভেদ ছিল তা ইতোমধ্যেই মিটে গেছে। ইজতেমার প্রস্তুতি চলছে। বিশ্ব ইজতেমা সামনে রেখে রবিবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকে আইনশৃঙ্খলা রা, সার্বিক নিরাপত্তা, বিদেশি মেহমানদের জন্য ভিসার ব্যবস্থা করাসহ সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে এক সভার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ কথা বলেন তিনি।
প্রায় আড়াই ঘণ্টা বৈঠকের পর বেরিয়ে এসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ৫ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। তাবলিগ জামাতের মধ্যে যে বিভেদ ছিল তা ইতোমধ্যে মিটে গেছে। ইজতেমার প্রস্তুতি চলছে। কয়েক লাখ লোকের জমায়েতের কারণে বিশ্ব ইজতেমাকে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম সম্মিলন বলা হয়। প্রতিবছর জানুয়ারি মাসে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন হলেও তাবলিগ জামাতের নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে এবার তা স্থগিত হয়ে যায়। এর মধ্যে একটি প টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে জোড় ইজতেমা করার চেষ্টা করলে দুই পরে মধ্যে সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হয়।
এরপর গত ২৪ জানুয়ারি ধর্ম মন্ত্রণালয়ে তাবলিগের দুই পরে নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ এবারের ইজতেমার তারিখ ঘোষণা করেন। কিন্তু এরপরও এক পরে মধ্যে তারিখ নিয়ে ভিন্নমত থাকায় ইজতেমা পেছাতে পারে বলে গুঞ্জন ছিল। রবিবারের সভার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলার সার্বিক বিষয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে। এখন তাবলিগ জামাতের দুই পরে দুইজন করে চারজন ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করছেন। আখেরি মোনাজাত কে করবেন, কে কোন অংশ পরিচালনা করবেন-তা তারা নির্ধিারণ করবেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, পুলিশ প্রধান, র্যাব প্রধান, ডিএমপি কমিশনার ও তাবলিগ জামায়াতের দুই পরে নেতারা উপস্থিত ছিলেন এ বৈঠকে। পরে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ সাংবাদিকরদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, তাবলিগ জামায়াতের এখন আর কোনো বিরোধ নেই। দীর্ঘ সময় ধরে আমরা অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। দুই পরে দুই জন করে চারজনকে নিয়ে বসে আমরা অন্যান্য কাজগুলো নির্ধারণ করব। তাবলিগ জামাতের দুই পরে নেতাদের মধ্যে সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম ও খান শাহাবুদ্দিন নাসিম এবং অন্য পে মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা ওমর ফারুক এ বৈঠকে অংশ নেন।
এফএন/কেএস