আমতলী সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
ঘরে ঘরে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিলেন আমতলীর ইউএনও মনিরা পারভীন। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খাদ্য সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় মঙ্গলবার আমতলী উপজেলা সদর ইউনিয়নের বান্দ্রা গুচ্ছ গ্রামের হতদরিদ্র কর্মহীন শ্রমজীবী ৫০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেন তিনি। ইউএনও’র এমন মহতি উদ্যোগে অভিভূত আমতলী উপজেলাবাসী।
জানা গেছে, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস রোধে সরকারের নেয়া উৎকৃষ্ট সিদ্ধান্তে কর্মহীন হয়ে পড়েছে উপজেলার কয়েক হাজার হতদরিদ্র শ্রমজীবী মানুষ। এ শ্রমজীবী পরিবারকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আপদকালিন সময়ে খাদ্য সহায়তা বরাদ্দ দেয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ শ্রমজীবী পরিবারগুলোর মধ্যে হতদরিদ্রদের খুঁজে খুঁজে মঙ্গলবার আমতলী সদর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের বান্দ্রা গুচ্ছগ্রামের ৫০ পরিবারকে ইউএনও মনিরা পারভীন খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেন। হতদরিদ্র প্রত্যেক পরিবারকে দশ কেজি চাল, দুই কেজি আলু, এক কেজি ডাল, এক লিটার তেল ও একটি সাবান দেয়া হয়। সরকারীভাবে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর থেকে ইউএনও মনিরা পারভীন উপজেলার ঘরে ঘরে গিয়ে হতদরিদ্র কর্মহীন পরিবার খুঁজে খুঁজে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করে আসছেন।
গুচ্ছগ্রামের বৃদ্ধা রোকেয়া বেগম কান্নাজনিত কন্ঠে সাগরকন্যাকে বলেন, ‘মুই গুড়াগাড়া নাতি-পুতি লইয়্যা গত ১২ দিন ধইর‌্যা ঘরের মধ্যে আছি। মোর ঘরে খাওন শ্যাষ অইয়্যা গ্যাছে। ইউএনও ছারে মোরে আইজগো খাওন না দেলে কাইলগো মোগো না খাইয়্যা থাকতে অইতো। আল্লায় ছারেরে বাচাইয়্যা রাহুক।’
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন বলেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস রোধে বাংলাদেশের মানুষকে রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ  সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে চেষ্টা করে যাচ্ছি। যতদিন মানুষ ঘরে কর্মহীন থাকবে ততদিন তাদের ঘরে ঘরে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেব। উপজেলার কর্মহীন একজন মানুষকে না খেয়ে থাকতে দেব না। সাধারণ ছুটির পর থেকে হতদিরদ্র কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। এ ধারাবাহিকতা অব্যহত থাকবে। তিনি আরো বলেন, আমতলী সদর ইউনিয়নের বান্দ্রা গুচ্ছগ্রামের ৫০ কর্মহীন পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে।

এইচএকে/এনবি