আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মনিরা পারভীনের নির্দেশে উপজেলার আঞ্চলিক ও গ্রামীণ সড়ক থেকে গাছের গুড়ি তুলে নিলেন এলাকাবাসী। সোমবার (১৩ এপ্রিল) জরুরী কাজে নিয়োজিত যানবাহন চলাচলা স্বাভাবিক হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্থি ফিরে এসেছে।
জানা গেছে, আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জিএম দেলওয়ার হোসেন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় শুক্রবার বরগুনা জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তাইন বিল্লাহ আমতলী উপজেলাকে লকডাউন ঘোষনা করেন। মানুষকে সচেতন করতে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে উপজেলার সর্বত্র মাইকিং করা হয়েছে। এ খবরটি দ্রুত ছড়িয়ে পরে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। এই সুযোগে একটি মহল আঞ্চলিক ও গ্রমাীণ সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে জরুরী কাজে নিয়োজিত যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে। এতে দুর্ভোগে পরে জরুরী কাজে নিয়োজিত যানবাহন চলাচল। খবর পেয়ে ইউএনও মনিরা পারভীন রবিবার পুলিশ ও দমকল বাহিনীর সহয়োগীয়ায় বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে সড়ক থেকে গাছের গুড়ি তুলে ফেলেন এবং এলাকাবাসীকে সড়ক থেকে গাছের গুড়ি তুলে নেয়ার নির্দেশ দেন। ইউএনও’র এমন নির্দেশনা পেয়ে উপজেলার সকল সড়ক থেকে এলাকাবাসী গাছের গুড়ি তুলে নিয়েছেন। ফলে স্বাভাবিক হয়েছে জরুরী কাজে নিয়োজিত যানবাহন চলাচল।
সোমবার খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, উপজেলা শহরের সাথে সংযুক্ত কাউনিয়া, নাচনাপাড়া , মানিকঝুড়ি, খুড়িয়ার খেয়াঘাট, ইসলামপুর, বাদ্রা, ফকিরবাড়ী, শাখারিয়া, মহিষকাটা, চুনাখালী, খেকুয়ানী, আড়পাঙ্গাশিয়া, খলিয়ান, বান্দ্রা, ঘোপখালী, গুলিশাখালী, কাঠালিয়া, অফিসবাজার, আজিমপুর, গাজীপুর সোনাখালীসহ উপজেলার সকল সড়ক থেকে গাছের গুড়ি তুলে ফেলেছে এলাকাবাসী। এতে স্বাভাবিক হয়েছে সড়কে জরুরী কাজে নিয়োজিত যানবাহন চলাচল।
পশ্চিম সোনাখালী গ্রামের সোহেল রানা বলেন, ইউএনও স্যারের নির্দেশ পেয়ে এলাবাসী সড়ক থেকে গাছের গুড়ি তুলে নিয়েছে। এতে সড়কে জরুরী কাজে নিয়োজিত যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
আমতলী চাওড়া ইউনিয়নের কাউনিয়া গ্রামের মাইনুল ইসলাম বলেন, সড়ক থেকে এলাকাবাসী গাছের গুড়ি তুলে নিয়েছে।
একই গ্রামের কালাম সিকদার, ইউনুচ সরদার ও লাল মিয়া বলেন, সড়ক থেকে গাছের গুড়ি তুলে নেয়ায় আমরা সাচ্ছন্দে সবজি নিয়ে বাজারে যেতে পেরেছি।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন বলেন, গাছের গুড়ি সরানোর নির্দেশনা পেয়ে এলাকাবাসী সড়ক থেকে তা তুলে নিয়েছেন। এতে জরুরী কাজে নিয়োজিত যান চলাচলে কোন সমস্যা রইল না।
এমএইচকে/এমআর