কলাপাড়ায় কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতে চলছে বাড়ি চিহ্নিতরণ

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » কলাপাড়ায় কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতে চলছে বাড়ি চিহ্নিতরণ
সোমবার ● ১৩ এপ্রিল ২০২০


কলাপাড়ায় কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতে চলছে বাড়ি চিহ্নিতরণ

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥

ঢাকা, নারায়নগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলা থেকে নিজ বাড়ি কিংবা আত্মীয় সজনের বাড়িতে আসা লোকজন এখন কলাপাড়ার মানুষের কাছে উৎকন্ঠার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। এসব মানুষের মাধ্যমে করোনা সংক্রমিত হতে পারে এমন শঙ্কায় শঙ্কিত থাকছেন স্থানীয় বাসীন্দারা। বিশেষ করে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের মাঝামাঝি থেকে এ শঙ্কা প্রবল হয়ে দেখা দিয়েছে।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় অন্তত ২০০ পরিবারে বাইরের জেলা থেকে লোকজন এসেছেন এমন অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। এসব শঙ্কিত মানুষ গণমাধ্যমকর্মী, পুলিশ প্রশাসন এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারকেই বেশি বেশি অবহিত করছেন। এছাড়া স্বাস্থ্যবিভাগের চিকিৎসকসহ কর্মীদেরও জানাচ্ছেন। নিজের উপজেলাকে করোনা ভাইরাসমুক্ত রাখতে মানুষের মধ্যে সচেতনতার পাশাপাশি একারণে এক ধরনের ভয়ঙ্কর শঙ্কা কাজ করছে। বহু গ্রামে পাহারা পর্যন্ত বসানো হয়েছে।
উপজেলার নীলগঞ্জে নদীপথে কোন যানবাহনে যেন বহিরাগতরা ঢুকতে না পারে এজন্য রাত জেগে পাহারা দেয়ার খবর এসেছে। চাকামইয়ায় অন্তত ২০ পরিবারের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উঠেছে নারায়নগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলা থেকে তারা এসেছেন। লালুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস জানান, তিনি ১০ এপ্রিল পর্যন্ত ১৭ জনের একটি তালিকা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে পাঠিয়েছেন। কলাপাড়া থানার ওসি খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তিনি কমপক্ষে ২০-২২টি বাড়িকে চিহ্নিত করে কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতের নির্দেশ দিয়েছেন।
মহিপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, তিনি অন্য জেলা থেকে আসা লোকজন অবস্থান করা এমন চারটি বাড়ি কোয়ারেন্টাইন করেছেন। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানান, এমনিতেই সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তাছাড়া এলাকার বাইরের জেলা থেকে আসা কোন ব্যক্তি কিংবা স্থানীয় শ্রমজীবী যারা বাইরে কাজ করছেন এদের কলাপাড়ায় ফেরার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা প্রশাসন করোনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিন্ময় হাওলাদার জানান, এখন পর্যন্ত কলাপাড়ায় করোনা আক্রান্তের খারাপ খবর নেই। তবে সোমবার পর্যন্ত ১৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। যার মধে ১১ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এর মধ্যে কারও শরীরে করোনা শণাক্ত হয়নি। তারপরও বহিরাগত কেউ কলাপাড়ায় আসার খবর পেলে তিনিও মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের দ্বারা খবর রাখছেন। করোনার বিস্তার রোধে সচেষ্ট রয়েছেন।

এমইউএম/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৪১:৪২ ● ৪০১ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ