ইন্দুরকানীতে সাপ্তাহিক হাট চালু রাখতে ব্যতিক্রমধর্মী সিদ্ধান্ত!

প্রথম পাতা » পিরোজপুর » ইন্দুরকানীতে সাপ্তাহিক হাট চালু রাখতে ব্যতিক্রমধর্মী সিদ্ধান্ত!
রবিবার ● ১২ এপ্রিল ২০২০


স্কুল মাঠ ও পরিচ্ছন্ন খোলা মাঠে বসানো হয়েছে সাপ্তাহিক হাট-বাজার।

ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পিরাজপুরের ইন্দুরকানীতে করোনাভাইরাস সংক্রামণ ঠেকাতে জনসমাগম রোধ ও জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে উপজেলার সকল হাট বাজারে বিকল্প পদ্ধতি হিসাবে স্কুল মাঠ ও পরিচ্ছন্ন খোলা মাঠে বসানো হয়েছে সাপ্তাহিক হাট-বাজার। রবিবার পাড়েরহাট বন্দরের সাপ্তাহিক হাট থাকায় বাজারের পার্শ্ববর্তী জমিদার বাড়ির সামনে স্থানান্তর করা হয়েছে। সকাল থেকেই আগের দিনের ঠিক করা স্থানে বসেছে ওই বাজার। বাজারে আসা ক্রেতা- বিক্রেতাদের  সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ উদ্যোগ গ্রহন করেন।
স্থানীয়রা জানান, নির্ধারিত দূরত্ব বজায় রেখে সকাল থেকে চলছে বেচা-কেনা। পাড়েরহাট মৎস বন্দরের কারনে এ বাজারটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এব্যবস্থা গ্রহনে এলাকাবাসী অনেক খুশি। এছাড়াও গত সপ্তাহব্যাপী উপজেলার সদর ইন্দুরকানী বাজার, পত্তাশী, ঘোষেরহাট, পাড়েরহাট লাহুরী, কালীবাজীহাট, বালিপাড়া, চন্ডিপুর সহ সকল সাপ্তাহিক হাট বাজারে এ ব্যবস্থা চালু করায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জমে উঠেছে বেচা-কেনা। ইন্দুরকানী বাজার বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, ইন্দুরকানী সদরের এই বাজারসহ উপজেলার প্রায় ১০টি স্থানে সাপ্তাহিক হাট-বাজার গুলোতে প্রচুর জনসমাগম হয়। ইউএনও’র এই উদ্যোগে আমরা সন্তুষ্ট এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সার্বিক ভাবে সহযোগীতার জন্য সকল বাজার কমিটিকে অনুরোধ করা হয়েছে। আগামীকাল সোমবার ইন্দুরকানী সদরে সাপ্তাহিক বাজার আছে গত শুক্রবারের মত একই অবস্থায় হাট বাসানো হবে মেহেউদ্দিন স্কুল মাঠে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মুহম্মদ আল মুজাহিদ বলেন, সাপ্তাহিক বাজার গুলোতে অনেক বিধিনিষেধ করা হলেও লোকসমাগম দেখে হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। নিত্য প্রয়োজনীয় কাচা বাজার, শাক সবজী কেনা বেচা করতে মানুষ হাটে আসবেই। করোনা প্রতিরোধে আমরা দৃঢ় প্রত্যয়। তাই বাজার বন্ধ করার জন্য চেষ্টা করেও স্থানীয়দের বিষয়টি বিবেচনা করে ভীড় এড়াতে স্কুল মাঠে বা সুবিধামত স্থানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সকাল থেকে ১২ঘটিকার মধ্যে বেচাকেনা শেষ করার শর্তে বাজারের অনুমতি দেয়া হয়েছে। সমাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাজার ব্যবস্থাপনায় প্রত্যেকটি বাজার কমিটিকে সাথে নিয়ে সাপ্তাহিক হাট-বাজারে এ ব্যবস্থা চালু করতে পেরে সত্যিই ভাল লাগছে। এখন বাজারগুলো মনিটরিং চলছে যাতে কেউ নিয়মের বাইরে জরতা তৈরি না করতে পারে। মানুষের মধ্যেও এখন অনেক সচেতন অবস্থা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এককে/এনবি

বাংলাদেশ সময়: ১৩:৩৫:১৫ ● ৫৫২ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ