আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
করোনা ভাইরাসের সংক্রামণ রোধে আমতলী থানা পুলিশ হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের মজনু চৌকিদারের দোকান বন্ধ করে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত মজনু চৌকিদার পুলিশের সহযোগী সন্দেহে রিয়াজুল চৌকিদার ও তার ভাই সাইফুলকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। ঘটেছে ঘটেছে মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে। আহত সহোদরকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
জানাগেছে, উপজেলার উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের মজনু চৌকিদার দাদন শরীফের ষ্ট্যান্ডে চায়ের দোকানের ব্যবসা করে। সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে মজনু চৌকিদার দোকান চালিয়ে আসছিল। সোমবার সন্ধ্যায় আমতলী থানার এসআই শুভ বাড়ৈ স্থানীয় রিয়াজুল চৌকিদারকে (৩২) সাথে নিয়ে ওই দোকান বন্ধ করে দেয়। এতে ব্যবসায়ী মজনু চৌকিদার সন্দেহ করে রিয়াজুল চৌকিদার পুলিশ এনে তার দোকান বন্ধ করে দিয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে মজনু চৌকিদার তার ছেলে হাসান চৌকিদার ও তাদের সহযোগী বশির সিকদারসহ ১৫-২০ রিয়াজুলের বাড়ীতে হামলা চালায়। এ সময় সাইফুল ও তার ভাই রিয়াজুল তাদের প্রতিহতের চেষ্টা করলে তারা লোহার রড দিয়ে দুই সহোদরকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। তাদের রক্ষায় রিয়াজুলের স্ত্রী মালা আক্তার ছুটে আসলে তাকেও মারধর করেছে। এতে সাইফুলের মাথায় এবং রিয়াজুল গুরুতর জখম হয়। স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। এ ঘটনায় রিয়াজুল চৌকিদার আমতলী থানায় অভিযোগ করেছেন।
আহত রিয়াজুল বলেন, পুলিশ দোকান বন্ধ করতে এলাকায় গেলে আমাকে সাথে নিয়ে যায়। এতে আমি পুলিশ এনেছি বলে তারা সন্দেহ করে আমার বাড়ীতে হামলা করে আমাকে ও আমার ভাইকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। আমার স্ত্রী আমাদের রক্ষায় এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করেছে। তিনি আরো বলেন , পুলিশকে সহযোগীতা করতে গিয়ে আমরা হামলার স্বীকার হয়েছি। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
বশির সিকদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মজনু চৌকিদার ও তার ছেলে হাসান চৌকিদার পুলিশ আনার সন্দেহে রিয়াজুল ও সাইফুলকে মারধর করেছে।
আমতলী থানার এসআই শুভ বাড়ৈ বলেন, আমি দোকান বন্ধ করতে যাওয়ার সময় রিয়াজুলকে পথে পেয়ে নিয়ে গেছি। এখানে রিয়াজুলের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। সাইফুল ও রিয়াজুলকে যারা মারধর করেছে তারা ঠিক করেনি।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার গৌড়াঙ্গ হাজড়া বলেন সাইফুলের মাথা ফেটে গেছে। উভয়কে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএইচকে/এমআর