অতুল পাল, সাগরকন্যা বাউফল প্রতিনিধি॥
সরকারি-বেসরকারি প্রচারণা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক বিরতিহীনভাবে মাইকিং চললেও মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব এবং ঘরবন্ধী বিধান (হোম কোয়ারেন্টাইন)। হাট-বাজারে চলছে শত শত লোকের আনাগোনা। গোপণে চলছে চায়ের দোকানে আড্ডা। সরকারি বেসরকারি সহায়তা পাওয়ার জন্য বিধি বিধান না মেনেই ভিড় করা হচ্ছে দাতাদের দুয়ারে। দেখে মনে হচ্ছে সব কিছুই স্বাভাবিক হয়ে গেছে এবং মানুষও স্বাভাবিকভাবেই চলাফেরা করছে।
সরেজমিন সোমবার বাউফল তথা দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বৃহত্তম বাজার কালাইয়া বন্দরে এমনই দৃশ্য ছিল সচারাচার। সমাগম না করা এবং দ্রুত হাট বাজারের কাজ সেরে বাড়ি চলে যাওয়ার আহবান জানানো হচ্ছে পুলিশ ও সেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে। কিন্তু কোন কিছুই যেন সাধারন মানুষের কানে যাচ্ছেনা। কাাঁচা বাজারে বেশ কিছু লোকের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, তারা সব্জিসহ নানা ধরণের মালামাল বিক্রি করতে পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে এসেছেন। কিন্তু কতটুকু দূরত্ব মেনে বেচা কেনা করতে হবে সেটা তাদের জানা নেই। কিছু ক্রেতার সাথে আলাপ করলে তারা জানান, তারা দৈনিন্দন বাজার করতে এসেছেন। মুখে মাস্ক নেই কেন ? কিংবা কতোটা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে বাজার করছেন? এমন প্রশ্ন করা হলে ভাল কোন জবাব পাওয়া যায়নি। দেখা গেছে, শত শত মানুষ বাজারে ঢুকছে, দীর্ঘক্ষণ বাজারে অবস্থান করে দর কষাকষি করে মাছ-তরকারি সহ অন্যান্য সামগ্রী কিনছেন কিন্তু কেউই মানছেন না সামাজিক দূরত্ব বিধান। কিছু সময় বাজারে অবস্থান নিয়ে দেখা গেছে, পুলিশ কিংবা সেনাবাহিনী থাকাকালিন চায়ের দোকানের সামনের দরজা বন্ধ করে ভিতরে গাদাগাদি করে চায়ের কাপে করোনারর ঢেউ তোলা হচ্ছে। পুলিশ এবং সেনা বাহিনী চলে যাওয়া মাত্রই দোকানের দরজার একটি অংশ খুলে দেদারছে বেচাকেনা করা হচ্ছে। সাংবাদিকদের দেখলে বলা হচ্ছে আপনারাতো বোঝেন, কী ভাবে চলবো। তাই ঝুঁকি নিয়েই দোকানদারি করছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক এবং অন্যান্য চাকুরীজীবীরা বলেন, করোনা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা একবারেই শূণ্যের কোঠায়। পুলিশ এবং সেনাবাহিনীকে কঠোর হতে হবে। প্রয়োজনে মৃদু লাঠিচার্জ করে হাটবাজারে আসা লোকদের তাড়িয়ে দিতে হবে। অন্যথায় ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটে যাবে। চলতি মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশ ভয়াবহ সময় পার করবে। এদিকে সকলের নজর দেয়া উচিৎ।
এপি/এনবি