বানারীপাড়ায় তাহের হত্যা মামলায় গ্রেফতার-৪

প্রথম পাতা » বরিশাল » বানারীপাড়ায় তাহের হত্যা মামলায় গ্রেফতার-৪
সোমবার ● ৬ এপ্রিল ২০২০


---

বানারীপাড়া (বরিশাল) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

বানারীপাড়ায় পরোকীয়ার জেরধরে ইটভাটা শ্রমিক আবু তাহেরকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ১৭ ঘন্টা পর ১১ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করার পাশাপাশি ১ জনকে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্ধি রেকর্ড করেছে। এছাড়া ওই ঘটনায় আদালত তিন আসামীর বিরুদ্ধে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এবিষয়ে আদালত ও থানা সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলা বাইশারী ইউনিয়নের বড়নগাতী গ্রামে মেসার্স রুমা ব্রিক্সে পরোকীয়ার জেরধরে ইটভাটা শ্রমিক আবু তাহেরকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনার ১৭ ঘন্টা পর শনিবার দুপুরে তার বড় ভাই আবু হানিফা বাদী হয়ে ৮ জনকে নামীয় ও অজ্ঞাত ২/৩ জনকে আসামী করে বানারীপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেণ।  থানার অফিসার ইনচার্জ শিশির কুমার পাল এ মামলাটি তদন্ত করার জন্য ওসি (তদন্ত) মো.জাফর আহম্মেদকে নির্দেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) মো.জাফর আহম্মেদ ওই দিন বিকেলে ঘটনাস্থল পরির্শন করে এজাহার ভূক্ত মামলার আসামী ঘাতক ইটভাটা শ্রমিক মো.নজরুল ইসলাম ও তার সহযোগী মো.সামিম, মো.আশ্রাফুল এবং মো.আলমকে গ্রেফতার করেণ। পরে ওইদিন সন্ধ্যায় তাদেরকে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করার পাশাপাশি মো.আশ্রাফুলকে আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার ম্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেণ।
ইটভাটা শ্রমিক আবু তাহেরকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ১১ জনকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হলেও রহস্যজনক কারণে ওই ঘটনার সাথে জড়িত এবং পুরো ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টাকরী ইটভাটার মালিক মো.রুস্তুম মোল্লা ও তার সহযোগীদের আসামী করা হয়নি।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় মেসার্স রুমা ব্রিক্সে পরোকীয়ার জেরধরে ইটভাটা শ্রমিক ও সাক্ষিরা জেলার স্যামনগর উপজেলার চকবারা গ্রামের মৃতঃ মোশারেফ হোসেনের ছেলে আবু তাহেরকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার পুরো ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য মেসার্স রুমা ব্রিক্সের (ইটভাটার) মালিক মো.রুস্তুম মোল্লা ও তার লোকজন প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে সহায়তা করেছেন। তারা ওই ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত থেকে ইট বিক্রিকরা অফিস ঘরের সামনে তারা ওই ঘটনায় শালিসদারের ভূমিকা পালন করার পাশাপাশি পুরো ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য অচেতন অবস্থায় ইটভাটা শ্রমিক আবু তাহেরকে (২৬) বানারীপাড়া উপজেলা ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে না নিয়ে নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এ সময় সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার উক্ত ইটভাটা শ্রমিক আবু তাহেরকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পূর্বেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে ঘোষনা করেণ। অবশ্য মেসার্স রুমা ব্রিক্স’র (ইটভাটার) মালিক মো. রুস্তুম মোল্লা তার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) মো.জাফর আহম্মেদ বলেন, ইটভাটা শ্রমিক আবু তাহের হত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

জিএমআর/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৬:২৬:১২ ● ৩১২ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ