তালতলীতে কালবৈশাখী ঝড়ে পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড

প্রথম পাতা » বরগুনা » তালতলীতে কালবৈশাখী ঝড়ে পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড
শনিবার ● ৪ এপ্রিল ২০২০


তালতলীতে কাল বৈশাখী ঝড়ে পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

বরগুনার উপকুলীয় তালতলী উপজেলায় শনিবার বিকেলের কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে পাঁচ শতাধিক ঘর, লন্ডভন্ড এবং ৫০ টি বৈদ্যুতিক খুটিসহ কয়েক হাজার গাছপালা উপড়ে পরেছে। এতে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেন স্থানীয়রা।
জানাগেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) বিকেল পাঁচ টায় উপকুলীয় তালতলী উপজেলার উপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানে। প্রায় আধা ঘন্টার ঝড়েরর তান্ডবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাদ্রসা ও মন্দিরসহ পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ী ভেঙ্গে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। উপড়ে পরেছে কয়েক হাজার পাছপালা। উপজেলার কড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নের কড়াইবাড়িয়া বাজারে বাবলা মার্কেট, বেহালা গ্রামে সার্বজনিন শ্রী শ্রী দূর্গা মন্দির, কড়াইবাড়িয়া দাখিল মাদ্রাসা, ছোটবগী গাবতলী দাখিল মাদ্রাসা ভেঙ্গে গেছে। এছাড়া বেহেলা গ্রামের তরুনী হাওলাদার, তৃনাথ হাওলাদার, সুরেশ চন্দ্র মিস্ত্রি ও খোকন চন্দ্র মিস্ত্রির ঘরসহ ৫০টি এবং ছোটবগী ইউনিয়নের লেমুয়া গ্রামের ইসহাক হাওলাদার, শানু কাজী, হাবিব মীরা, গাবতলী গ্রামের সাইদুল মুন্সি, চরপাড়া গ্রামের স্বপন কাজী, ইদ্রিস কাজী, আবদুর রব বিশ্বাস ও নার্গিস বেগম ঘরসহ ১৫ টি এবং ছোটবগী বাজারের কামাল খান, তাপসসহ ১৫টি ও পূর্ব গাবতলী গ্রামের ১০টি ঘরসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অন্তত পাঁচ শতাধিক ঘর ভেঙ্গে গেছে।
ছোটবগী বাজারের মোঃ কামাল খাঁন বলেন, ঝড়ে আমার ঘরটি সম্পুর্ণ ভেঙ্গে গেছে।
লেমুয়া গ্রামের ইসহাক হাওলাদার বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে দুইটি বৈদ্যুতিক খুটি ও দুইটি ঘর ভেঙ্গে পরেছে।
ছোটবগী বাজারের মোঃ মোজাম্মেল ডাকুয়া বলেন, বাজারের ১৫ টি ঘর ভেঙ্গে গেছে।
কড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নের বেহেলা গ্রামের হিরেন চন্দ্র বলেন, মন্দিরসহ গ্রামের অন্তত ৫০ টি ঘর ভেঙ্গে এবং ১৫ টি বৈদ্যুতিক খুটি উপড়ে পরেছে।
কড়াইবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলতাফ হোসেন আকন বলেন, ইউনিয়নের মন্দির, মাদ্রাসাসহ  অন্তত ২’শ ৫০ ঘর ভেঙ্গে গেছে।
উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ছোটবগী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ তৌফিকুজ্জামান তনু বলেন, ঝড়ে অনেক ঘরবাড়ী ভেঙ্গে পরেছে। খোঁজ খবর নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থদের সহযোগীতা করা হবে।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ সেলিম মিঞা বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার অনেক এলাকার ঘর ভেঙ্গে ও গাছপালা উপড়ে পড়ার খবর পেয়েছি। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তালতলী উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রেজবি-উল কবির জোমাদ্দার বলেন, কাল বৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের আর্থিকভাবে সহযোগীতা করা হবে।

এমএইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:২৮:০৭ ● ৭৩১ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ