দশমিনা (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পটুয়াখালীর দশমিনায় তরমুজের বাম্পার ফলন হলেও করোনার প্রকোপে ক্রেতা সমাগম না থাকায় বিক্রি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন ইউনিয়নে ৪শ” ৫০হেক্টর জমিতে এবার তরমুজের চাষাবাদ হয়েছে। ইতোমধ্যে খেতের ফসল কোথাও পেকেছে, আবার অনেক খেতে পাকার উপক্রম হয়েছে। চর-অঞ্চল তরমুজের চাষাবাদ অন্যান্য এলাকার তুলনায় বেশি হয়েছে। নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরে এর চাষাবাদ শুরু করে কৃষক। গাছে ফলন ধরা থেকে ৪৫দিনের মধ্যে ফলন দেখা দেয়।
এ বছর প্রথম অবস্থায় খেত ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে লন্ডভন্ড হলে কোনো কোনো কৃষক জানুয়ারির শেষের দিকে, আবার অনেকে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বিতীয়বার চাষাবাদ শুরু করেন। এ উপজেলায় বিভিন্ন প্রজাতির তরমুজের ফলন ভালো হয়। তাই এ অঞ্চলে চাষাবাদ বেশি করেন সংশ্লিষ্টরা। বিগত বছরের তুলনায় এ বছর ব্যাপক ফলন হয়েছে। এসব তরমুজ ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, রংপুর, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার আড়ৎদাররা খেত থেকে কিনে ট্রাক বোঝাই করে নিয়ে যান। তরমুজ পাকতে শুরু করলে কয়েকশ ট্রাক অপেক্ষমান থাকে উৎপাদিত এলাকায়। এ বছর করোনভাইরাসের ভয়ে আড়ৎদাররাও আসছেন না তরমুজ ক্রয়ে। অপরদিকে, কৃষকদের আড়ৎদারদের কাছ থেকে নেওয়া দাদনের বোঝাও বেড়ে চলেছে। অনেকের খেতে তরমুজ পেকে ফেটে যাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন একাধিক কৃষক।
এ ব্যাপারে হাজীরর হাট গ্রামের একাধিক চাষি জানান, তাদের খেতে তরমুজ পেকে আছে কিন্তু ক্রেতা সংকটে বিক্রি করতে পারছেনা। তাদের খেতের তরমুজ বিক্রির উপযোগী হয়ে আছে। করোনাভাইরাসের প্রকোপ না কমলে ক্রেতার অভাবে লোকসান গুনতে হতে পারে বলেও জানান।
এদিকে, গোলখালী এণাকায় প্রতি বছরের মত এ বছরও ভালো ফলন হয়েছে খেতের ফসল আগেভাগেই পেকে গেছে। ক্রেতার অভাবে বিক্রি করতে পারছেন না বলে খেতেই ফেটে যাচ্ছে তরমুজ। তারা আরও জানান, ধান চাষের চেয়ে তরমুজ চাষে লাভ বেশি বিধায় এলাকার কৃষক তরমুজ চাষাবাদ করছেন। তাদের অনেকে ব্যাংক লোন কিংবা বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন নিয়ে বিনিয়োগ করে ফসল উঠার পর তা পরিশোধ করে দেন। এ বছর করোনাভাইরাস তাদের পিছিয়ে দিচ্ছে বলে তিনি উলেস্নখ করেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ বনি আমিন খান জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর ব্যাপক ফলন হলেও বিক্রি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক। পাকা ফল সময়মতো বিক্রি করতে না পারলেও তাতে পচন ধরার সম্ভাবনা রয়েছে।
এসবি/এমআর