দশমিনায় ভালো নেই শ্রমজীরীরা

প্রথম পাতা » সর্বশেষ » দশমিনায় ভালো নেই শ্রমজীরীরা
মঙ্গলবার ● ৩১ মার্চ ২০২০


প্রতীকী ছবি

সঞ্জয় ব্যানার্জী, দশমিনা সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
সারা দেশের ন্যায় ২৫ মার্চ থেকে পটুয়াখালীর দশমিনায় প্রশাসন সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করণে একজোটে কাজ করছে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষ। উপজেলার রণগোপালদী, আলীপুর, বেতাগী-সানকিপুর, দশমিনা সদর, বহরমপুর, বাঁশবাড়িয়া ও চরবোরহান ইউনিয়নে সরেজমিনে দেখে শ্রমজীবী মানুষদের কর্মহীন হয়ে পড়ার প্রতিবেদন তৈরী করেছেন আমাদের এ প্রতিনিধি।
রনগোপালদীর আউলিয়াপুর গ্রামের মোঃ ফিরোজ জানায়, বাবার ভিটেমাটি ছাড়া চাষে জমি নাই। রাস্তায় মোটর সাইকেল ভাড়ায় চালিয়ে চলে ৬ জনের সংসার। জমিয়ে রাখা চালডাল শেষ হয়েছে। এখন ধার দেনা চলছে। কাজে বের না হলে ধারকর্য পরিশোধ আর খাবারের জন্য বিপাকে পরতে হবে। আলীপুর গ্রামের অসীম চন্দ্র দাস জানায়, হাটে তৈরী পোষাক বিক্রি করে সংসার চলে তাঁর। পরিবারে ৮ জন লোকের মধ্যে তাঁর আয়ে সংসার চলে। হাট বাজারে মানুষের সমাগম বন্ধ থাকায় আয়ের রাস্তা বন্ধ। আরও ২ দিন খাবার চলবে টেনেটুনে। এরপরে না খেয়ে থাকতে হবে বলেও জানালেন। বেতাগী গ্রামের লুৎফর রহমান বলেন, গাছ কাটার কাজ করে ৪ জনের সংসার চলে। কাজ না থাকায় আয়হীন ঘরে বসে থাকি। দশমিনা ইউনিয়েনর চরহাদি গ্রামের বারেক সিকদার বলেন, দুধ সংগ্রহ করে হাটে বাজারে বিক্রি করে ওই আয়ে সংসার চালাই। হাতের ছোঁয়ায় দুধ সংগ্রহ, তাই করোনা আতংকে দুধ কিনছে না কেউ। আরও কয়েক দিনের চাল থাকলেও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী নেই। সোমবার থেকে লবন মচির দিয়ে ভাত খাচ্ছি। বহরমপুর গ্রামের সব্জি চাষী আজাহার, বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ের দক্ষিণ দাসপাড়া গ্রামের মাটিকাটা শ্রমিক পচু খান ও চরবোরহান ইউনিয়নের মাছ বিক্রেতা বাসার হোসেন জানালেন নিজেদের অসহায়ত্ব দূর্দশার কাহিনী। শ্রমিজীবি মানুষেরা কেউ ভালো নেই। এদিকে সীমিত ত্রাণ বিতরণ করছে উপজেলা প্রশাসন। প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম হওয়ায় শ্রমজীবী মানুষদের মধ্যে আগামীর বেঁচে থাকার চিন্তায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
উপজেলা প্রশাসনের দাপ্তরিক তথ্যে জানা গেছে, ইতিমধ্যে যেসব পণ্য উপজেলায় এসেছে এর বিতরণ কার্যক্রম চলছে। এছাড়াও দুস্থদের তালিকা তৈরীর কাজ ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে চলমান রয়েছে।

এসবি/এনবি

বাংলাদেশ সময়: ২০:১৪:১৮ ● ২৯২ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ