আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর থেকেই শহর থেকে মানুষ গ্রামাঞ্চলে এসে অবস্থান নিয়েছে। তারা গ্রামে এসে সরকারী নির্দেশনা না মেনে ইচ্ছামাফিক চলাফেরা করছে। হোম কোয়ারেন্টাইন মানছেন না তারা। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন আমতলী এলাকার মানুষ। দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানাগেছে, বিশ্বাব্যাপী প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় বাংলাদেশকে রক্ষায় সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকারের পদক্ষেপের পরই শহরের মানুষ গ্রামে এসে অবস্থান করছে। তারা গ্রামাঞ্চলে এসে তাদের ইচ্ছামাফিক চলফেরা করছে। তারা মানছেন সরকারী নির্দেশনা। তারা উল্টো গ্রামের মানুষদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিচ্ছে। শহরের মানুষের অবাধ চলাফেরা ও অসচেতনতা গ্রামের মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরেছে এমন দাবী গ্রামবাসীর। শহরের মানুষের অবাধ চলফেরা ও অসচেতনার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এদিকে তালতলী উপজেলার বিভিন্ন সড়কে অবাধে অটোরিক্সা ও ইজিবাইক যাত্রী বোঝাই করে চলাচল করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শহরের মানুষ গ্রামে এসে সরকারী নিয়মনীতি না মেনে গ্রামাঞ্চলের বাজারের বিভিন্ন চায়ের দোকান, রেষ্টুরেন্ট ও বাজারে আড্ডা দিচ্ছেন। এমনকি তারা সরকারের নির্দেশনার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে উল্টো বোঝাচ্ছেন। এতে গ্রামের সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক আরো ছড়িয়ে পরছে।
সোমবার দুপুরে তালতলী কড়াইবাড়িয়া, কচুপাত্রা ও আড়পাঙ্গাশিয়া বাজার ঘুরে দেখাগেছে, মানুষ চায়ের দোকান ও রেষ্টুরেন্টে বসে আড্ডা দিচ্ছেন। তালতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য ইউসুফ হোসেন বাবলা রবিবার ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ীতে এসেছেন। তিনি কড়াইবাড়িয়া বাজারে সাধারণ মানুষকে করোনার বিষয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন। তিনি বলেন, সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছেন তা ঠিক না। প্রতিদিন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মানুষ মারা যাচ্ছে কিন্তু সরকার তা লুকাচ্ছেন।
কড়াইবাড়িয়া বাজারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, বাবলা কড়াইবাড়িয়া বাজারের এসে করোনা ভাইরাস নিয়ে সরকার লুকোচুরি করছে বলে বিরুপ মন্তব্য করছে।
কচুপাত্রা গ্রামের নাশির উদ্দিন ও জাকির সিকদার বলেন, করোনা ভাইরাস আতঙ্কে শহরের মানুষ গ্রামে এসে অবস্থান করছে। কিন্তু সরকারী নির্দেশনা তারা মানছেন না। তারা অসচেতনভাবে গ্রামে চলাফেরা করছে। বাজারে এসে চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছে। মাক্স পরে না। প্রশাসনের কাছে এদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানাই।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সেলিম মিঞা বলেন, সরকারের নির্দেশনা মতে প্রয়োজন ছাড়া কোন মানুষ ঘরের বাহিরে যেতে পারবে না। শহর থেকে যারা এসে সরাকরী নির্দেশনা মানছেন না তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সরকারী নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এইচএকে/এনইউবি