কুয়াকাটায় তরমুজ চাষীরা বিপাকে

প্রথম পাতা » কুয়াকাটা » কুয়াকাটায় তরমুজ চাষীরা বিপাকে
রবিবার ● ২৯ মার্চ ২০২০


কুয়াকাটার তরমুজ চাষীরা বিপাকে

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষতির মুখে কুয়াকাটার তরমুজ চাষিরা। এ ভরামৌশুমে বড় বড় তরমুজ পাকার সময় হলেও ক্ষেতে রেখে দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে ভুক্তভোগীদের। এনজিওর ও বিভিন্ন ব্যাংক থেকে  ঋণ নিয়ে শত শত তরমুজ চাষিরা   তরমুজ চাষ করে এখন হতাশ হয়ে পরছেন। সারা দেশে লকডাউন হওয়ায় কুয়াকাটায় তার ব্যতিক্রম নয় যার ফলে লোকাল ভাবেও বিক্রি করতে পারছে না  বরং কোন বাহির থেকে ও কোন ক্রেতা আসছেনা তরমুজ ক্ষেতে। এ নিয়ে খুবই বিপাকে পড়ছেন কৃষকরা।
রবিবার (২৯ মার্চ) সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কুয়াকাটার মম্বিপাড়ায় শত শত তরমুজ চাষিরা তরমুজ চাষ করে মাথায় হাত রেখে বসে আছেন। করোনার লকডাউনের কারণে চরম বিপাকে পড়ছেন খেটে খাওয়া দিনমজুর তরমুজ  চাষিরা। ক্রেতা নেই লোকাল কোন বাজরে উঠতে পারছেনা লোকজনে সমাগম নেই। তারপর গাড়ীও পচ্ছে না কি করবে শুধু মাথায় হাত রেখে চিন্তা করছে। সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন সংস্থা দিয়ে লোন নিয়ে চাষ করছেন তরমুজ চাষীরা সহযোগীতায় বাড়াচ্ছেন না কেঊ।  দিনাতিপাত করছে সারাক্ষন ক্ষেতে বড় বড় তরমুজ ফেটে নস্ট হয়ে যাচ্ছে এসব দৃশ্য দেখে চোখের পানি ফেলছে কৃষকরা। ভুক্তভোগী চাষী আঃ রহিম (৪৬) বলেন অনেক কস্টে লোন নিয়ে ৪ বিঘা জমিতে চাষ করলাম শুরুতেই বৃষ্টিতে কয়েকবার নস্ট হয়েছে। যা হয়েছে তা আবার এখন বিক্রী করতে পরছিনা কোন ক্রেতা আসছেনা তরমুজ পেকে ক্ষেতে নস্ট হচ্ছে। কেউ কোন খবর নিচ্ছে না, আমি কোন উপায়ও দেখছি না। যা খরচ করছি, শেষে তাও পাই কিনা- অনেক খারাপ লাগছে। কি ভাবে লোন পরিশোধ করবো জানিনা আল্লাহ ভালো জানেন।
কুয়াকাটার রির্জাভ ফরেস্ট তরমুজ চাষী সাইকুল ইসলাম বলেন- প্রতিবার খবচের চেয়ে অনেক টাকা আল্লাহ ইচ্ছার বিক্রি করি এবছর তার উল্টো যেমনি ক্ষতি হয়েছে গাছের চারা থাকতে এরপর এখন আবার করোনা ভাইরাসের কারণে কোন ক্রেতা আসছেনা সরকারের সহযোগীতা ছাড়া আমাদেরও উপায় দেখছি না।

এইচএ/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৮:৫৮:৩৯ ● ৫৫১ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ