কলাপাড়া সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
করোনা আতঙ্কে কাঁপছে দেশ। এর প্রভাবে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এদিকে ফ্লেক্সি লোডের দোকান বন্ধ থাকায় গণমাধ্যমকর্মীসহ জরুরী সেবাদানকারীদের অনেকেই পড়েছেন বিড়ম্বনায়। বুধবার সকাল থেকে পৌর শহরের ফ্লেক্সি লোডের বিভিন্ন দোকানে অনেকে জরুরী ফ্লেক্সিলোডের জন্য এসেও ফিরে গেছেন। তবে স্থানীয় প্রশাসন, গণমাধ্যমকর্মী, স্বাস্থ্যকর্মীদের তাঁরা বিশেষ ব্যবস্থায় ফ্লেক্সিলোড দিতে প্রস্তুত রয়েছেন, এমনটা জানিয়েছেন ফ্লেক্সি লোড ব্যবসায়িরা।
বুধবার সকালে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, পৌরশহরের ফ্লেক্সি লোডের সকল দোকান বন্ধ রয়েছে। রাস্তায় লোকজনের উপস্থিতি একবারেই নেই। শুধু ফ্লেক্সি লোডের দোকান নয়, সকল ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্রশাসনের নির্দেশে বন্ধ রাখা হয়েছে। মোটকথা এখন সুনসান নিরবতা বিরাজ করছে গোটা শহর জুড়ে। এছাড়া প্রশাসনের তরফ থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারী সকল ধরনের যাত্রী পরিবহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করায় রাস্তা ঘাটও ফাঁকা দেখা গেছে। শুধুমাত্র ফার্ম্মেসী, কাঁচা বাজারের কিছু দোকান খোলা থাকলেও ক্রেতার উপস্থিতি একবারেই শূন্যের কোঠায়।
গার্মেন্ট ব্যবসায়ী বর্তমান ফ্যাশনের সত্বাধিকারী রেহান উদ্দিন রেহান বলেন, করোনাভাইরাসের প্রভাবে সারা দেশের ন্যায় কলাপাড়া ব্যবসায়ী সমিতির নির্দেশে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।
পৌর শহর মোবাইল ফ্লেক্সি লোড ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দেবাশিষ মুখার্জী বলেন, ‘কে করোনাভাইরাস বহন করছেন, তা কারোর’ই জানা নেই। মুঠোফোনের দোকানগুলিতে ফ্লেক্সিলোডের জন্য সবাই এসে থাকেন। গত দু’দিন ধরে ভিড় বেড়ে গেছে। যদি কারো শরীরে করোনাভাইরাস থাকে, তাহলে এ সময় তা সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যার কারণে জনস্বার্থের কথা চিন্তা করে ফ্লেক্সিলোড দেয়া বন্ধ করা হয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে এ সেবা কার্যক্রম আবার চালু করা হবে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, ‘করোনার কারণে দূরপাল্লার সকল পরিবহন, অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রী পরিবহন, কলাপাড়া পৌর শহরে চলাচলকারী অটোরিক্সা, ইজিবাইক পরবর্তি নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।’
এমআরবি/এনবি