ঢাকা সাগরকন্যা অফিস ॥
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বর্তমানে সবক্ষেত্রেই নিজেদের দক্ষতার প্রমাণ রেখে চলেছেন নারীরা। কোথায় নেই তারা? দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে স্পিকার-এ ছাড়া অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে নানা পর্যায়ে দতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন তারা। শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসকাবের আবদুস সালাম হলে ‘সংরতি নারী আসন: সংসদীয় গণতন্ত্রে নারীর ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ আলোচনা সভার আয়োজন করেছে জাগো বাংলা ফাউন্ডেশন।
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম বলেন, বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর অর্ধেক নারী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণেই নারীর এ মতায়ন হয়েছে। বাংলাদেশের নারীর মতায়ন বিশ্বে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। আজকে প্রায় সংসদে ৫০টির মতো আসন নারীদের জন্য সংরতি। মতিয়া চৌধুরীসহ আরও অনেকে সরাসরি নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে যারা সংরতি আসনে জয়ী হয়ে পার্লামেন্টে যাবেন-তারা দলকেও নেতৃত্ব দেবেন বলে আশা করছি। দলে নারী নেতাদের ভূমিকা রাখতে হবে, পাশাপাশি পার্লামেন্টেও জনগণের কথা স্পষ্টভাবে বলতে হবে। প্রয়োজনে সরকারের সমোলচনাও করতে হবে।
আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা নাসিম বলেন, পার্লামেন্ট এখন বসেছে। সেখানে সবাইকে কথা বলতে হবে, জনমানুষের কথা। আমরাও যখন বিরোধী দলে ছিলাম পার্লামেন্টে গিয়েছি। রাজনীতিকে অনেক কঠিন আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, রাজনীতি অনেক কঠিন বিষয়। যেকোনো অবস্থায় রাজনীতির জন্য লড়াই করে যেতে হবে। বিএনপিকে পার্লামেন্টে যেতে হবে। আপনারা না এলে তো আমাদেরই লাভ। বিএনপির এখনও সুযোগ আছে পার্লামেন্টে যাওয়ার, আপনারা আসুন। পারলে আমাদের নাজেহাল করুন। অভিমান করে কিছু হয় না, বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন নাসিম।
আলোচনা সভায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ওয়াহেদুজ্জামান চান, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার, মুক্তিযোদ্ধা এম এইচ খান, জাতীয় প্রেসকাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, অজয় দাসগুপ্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক ড. জিনাত হুদা, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, ঢাকা মহানগর দণি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, যুব মহিলা লীগ সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল প্রমুখ বক্তব্য দেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন আয়োজক ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ও ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী।
এফএন/কেএস